আ. লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কথা বলে বিএনপির কর্মীসভা বন্ধ করল পুলিশ
পুলিশের বাধায়, লাঠিপেটায় ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিএনপির কর্মী সম্মেলন পণ্ডের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়লে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বোয়ালমারী পৌর এলাকার পাঞ্জেরি একাডেমি প্রাঙ্গণে বিএনপির কর্মীসভার আয়োজন করা হয়। সকালে সভা উপলক্ষে কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতারা সেখানে সমবেত হতে থাকেন।
তবে সকাল ১১টার দিকে পুলিশ সমাবেশস্থলে বাধা দিতে থাকে।
পুলিশের ভাষ্য, আজ শুক্রবার আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন বিএনপি কর্মীসভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশঙ্কা ছিল। এ কারণে বিএনপির সভা বন্ধ করা হয়েছে।
কর্মীসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান। প্রধান বক্তা ছিলেন ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী।
স্থানীয়রা জানান, সকাল ১০টায় কর্মীসভা শুরু হলে পুলিশ সভাস্থলে পৌঁছে সভা বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। এতে নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের সঙ্গে তর্ক-বিবাদ শুরু হয়।
নেতাকর্মীরা তখন সরকারবিরোধী শ্লোগান দিতে থাকলে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এ সময় নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
পুলিশের লাঠিপেটায় বোয়ালমারী পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুস শুকুর শেখ, যুবদল নেতা ইমরান হোসেনসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীরা আহত হন। তাদের স্থানীয় একটি ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ্ মোহাম্মদ আবু জাফর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পুলিশের থেকে আগে অনুমতি নেওয়ার পরেও আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ হামলা চালিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। পুলিশের লাঠিচার্জে আমাদের নেতাকর্মীরা আহত হয়েছেন।'
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ কে কিবরিয়া বলেন, 'আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কথা বলে পুলিশ যা করল, তাতে মনে হয়েছে পুলিশ আওয়ামী লীগের চেয়ে বড় আওয়ামী লীগ হয়ে গেছে।'
জানতে চাইলে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে বিএনপি কর্মীসভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা ছিল। তাই অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বলা হয়। বিএনপির নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠান চালিয়ে গেলে সভা বন্ধ করে দেয় পুলিশ।'
তবে কাউকে লাঠিপেটা করা হয়নি বলে দাবি করেন ওসি।
Comments