নতুন মার্কিন ভিসা নীতির জন্য নয়, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হোক নিজেদের স্বার্থেই

সত্যি বলতে, বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতিকে অসম্মানজনক বলে মনে হয়েছে আমার কাছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এমন একটি বিষয়, যা আমাদের আত্মসম্মানবোধ থেকেই নিশ্চিত করা উচিত। কিন্তু, বাস্তবতা হলো আমাদের সর্বশেষ ২টি জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি।

এখন আমাদেরকে নাইজেরিয়ার সঙ্গে একই তালিকায় রাখা হয়েছে। অথচ, নাইজেরিয়া আজন্ম দুর্নীতিতে নিমজ্জিত এবং দেশটির অভিজাত শ্রেণি তাদের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে অবজ্ঞা করে দশকের পর দশক ধরে বিপুল পরিমাণ অর্থ-সম্পদ আত্মসাৎ করে আসছে, যা 'মানবতার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অপরাধ' হিসেবে গণ্য হয়। নৈতিকতার দিক থেকে দেশটি একেবারেই ভগ্ন দশায় রয়েছে এবং জঙ্গি সংগঠন বোকো হারাম সেখানে বছরের পর বছর ধরে অবলীলায় ঘৃণ্যতম অপরাধ করে যাচ্ছে।

অপরদিকে, আমরা হলি আর্টিজানের মর্মান্তিক ঘটনার পর জঙ্গিবাদকে অঙ্কুরেই বিনাশ করেছি। দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে আমাদের সাফল্যের রেকর্ড সমালোচকদের চোখ খুলে দিয়েছে। এমনকি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে অনুকরণীয় বলে উল্লেখ করেছেন।

তাহলে কেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের ভিসা নীতির মাধ্যমে আমাদেরকে নাইজেরিয়ার কাতারে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে? আমরা যদি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতাম—গণতন্ত্র শক্তিশালী করতাম, সবার অধিকার নিশ্চিত করতাম এবং সুশাসন নিশ্চিত করতাম—তাহলে এ ধরনের নীতিমালা আমাদের মোকাবিলা করতে হতো না।

বাস্তবতা হলো, আমরা আমাদের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছি এবং সংসদ, সরকারি সংস্থা, আইনি অবকাঠামোসহ জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পারে এমন সব প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করে ফেলেছি। বিশ্বস্ততা নিশ্চিত করতে গিয়ে আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো রাজনৈতিক মোসাহেব দিয়ে ভরে ফেলেছি এবং প্রশাসনে শুধুই ক্যারিয়ারকে প্রাধান্য দেওয়া এক শ্রেণির মানুষ যুক্ত হয়েছে, যাদের কাছে কর্মদক্ষতা কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়, আর সততা শুধু বোকাদের বৈশিষ্ট্য হিসেবে বিবেচিত। আমরা কার্যত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য তুলে দিয়েছি ঋণখেলাপি, অর্থ পাচারকারী ও সুযোগসন্ধানীদের হাতে। চূড়ান্ত অবহেলার কারণেই হাতেগোনা কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান আমাদের ব্যাংকগুলোকে এভাবে লুটে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। এর ব্যতিক্রম হিসেবে কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারাই মূলত আমাদের অর্থনীতিকে ধরে রেখেছে।

আমরা সব ধরনের ক্ষমতা সরকার, ক্ষমতাসীন দল ও তাদের সমর্থকদের হাতে কুক্ষিগত করে রাখার মাধ্যমে গণতন্ত্রকে একটি উপহাসে পরিণত করেছি। আমরা কি ২০১৪ সালে 'বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়' ১৫৩ জন সংসদ সদস্য নির্বাচন এবং ২০১৮ সালে ভোটের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে প্রহসনমূলক করে তুলিনি? নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা খর্ব করার জন্য নতুন খসড়া আইনও তৈরি হচ্ছে। অথচ, আমাদের জনগণ ও গোটা পৃথিবীকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আজ যদি যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আমাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে গুরুতর সন্দেহ প্রকাশ করে, তাহলে কি আসলেই তাদেরকে দায়ী করতে পারব? চাপের মুখে না পড়লে আসন্ন নির্বাচনও আগের ২টি নির্বাচনের মতোই হবে—সাধারণ মানুষের মনে যে এই ধারণা গেঁথে গেছে, তা কি আমরা অস্বীকার করতে পারব?

গত বছর আমরা বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার কূটনীতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করেছি। সেইসময়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি পাঠিয়ে বলেছেন, 'আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের অংশীদারিত্ব আরও ৫০ বছর বা তারচেয়েও বেশি সময়ে আরও মজবুত হতে থাকবে।' তিনি আরও বলেছেন, 'বাংলাদেশিদের কর্মস্পৃহা, পরিশ্রমী মনোভাব ও উদ্ভাবনী ক্ষমতা—বিশেষত, ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর সবকিছু নতুন করে গড়ে তোলা এবং বর্তমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের নতুন পথ গড়ে তোলা—এ সবই বাকি বিশ্বের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।'

কূটনীতিক সম্পর্কের ৫০ বছরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও 'অসামান্য মানবিকতা' দেখিয়ে ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। তিনি একইসঙ্গে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনগুলোতে সবচেয়ে জোরালো সমর্থক দেশগুলোর অন্যতম হওয়ার জন্য, জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়গুলো নিয়ে প্রচারণা চালানোর জন্য এবং কার্যকরভাবে মহামারি মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। উল্লেখ্য, করোনা মহামারি মোকাবিলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র আমাদেরকে ৬ কোটি ১০ লাখ ডোজ টিকা ও ১৩ কোটি ১০ লাখ ডলার অর্থ সহযোগিতা দিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক রপ্তানির সবচেয়ে বড় গন্তব্যও যুক্তরাষ্ট্র।

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির পর ১ বছরের মধ্যে কী এমন হলো যে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে গত মে মাসে লন্ডনে বিবিসির এক সাক্ষাৎকারে জিজ্ঞাসা করা হলো, কেন যুক্তরাষ্ট্র বিধিনিষেধ আরোপ করেছে এবং তখন তিনি নির্দ্বিধায় বললেন, 'আমি জানি না, হয়তো তারা আমার কাজ অব্যাহত থাকুক তা চায় না, আমি বাংলাদেশের জন্য যেসব উন্নতি করেছি, সেটা তারা হয়তো গ্রহণ করতে পারছে না। এটা আমার অনুভূতি।' (বিবিসি বাংলা, ১৬ মে ২০২৩)

কূটনীতিক বিষয় বাদ দিলে, আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে বেশ কিছুদিন ধরেই কালো মেঘের ঘনঘটা। বছরের পর বছর মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মানবাধিকার সংক্রান্ত বার্ষিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমবর্ধমান অস্বস্তির বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়ে আসছে। জনগণের প্রতিবাদ ও স্বাধীন গণমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার পরও গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কোনো সুরাহা না হওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়।

গুমের ঘটনাগুলো নিয়ে মন্ত্রীরা হাস্যকর বক্তব্য দিয়ে বিষয়টিকে উপহাসের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। যেমন: তারা দাবি করেছেন, যাদেরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, তারা হয় বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন অথবা ভূমধ্যসাগর দিয়ে অবৈধভাবে নৌকায় করে ইউরোপে যাওয়ার সময় পানিতে ডুবে মারা গেছেন। গুম হওয়া মানুষের পরিবার দাবি করছে, ঘটনাস্থলে তারা সাদা পোশাকে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সদস্যদের দেখেছেন। কিন্তু, তাদের এই দাবির প্রতি কোনো নজর দেওয়া হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) এবং র‌্যাবের কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয় এবং এরপর রাতারাতি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড প্রায় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এমন একটি কার্যকরী উদ্যোগের কৃতিত্ব দেওয়ার বদলে কর্তৃপক্ষ বরং সব ধরনের অন্যায়কে অস্বীকার করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা কর্মকর্তাদের প্রশংসা করতে থাকে এবং তাদেরকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে অনুকরণীয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালায়।

২০২১ সালে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, যেখানে পাকিস্তানসহ ১১০টি দেশ আমন্ত্রণ পায়। এটি একটি সুস্পষ্ট ইঙ্গিত যে আমাদের পারস্পরিক বোঝাপড়ায় বড় ধরনের কোনো সমস্যা রয়েছে। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় ২০২৩ সালে। ওই বছর অনুষ্ঠিত দ্বিবার্ষিক এই সম্মেলনেও আমাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তখনো আমরা এই বিষয়ে ভ্রুক্ষেপ করিনি।

সর্বশেষ আঘাত আসে যখন যুক্তরাষ্ট্রের ৬ কংগ্রেসম্যান প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে চিঠি লেখেন, যেখানে তারা 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করার জন্য জরুরি উদ্যোগ নেওয়ার' এবং 'অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষকে আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সর্বোচ্চ সুযোগ সৃষ্টি করার' জন্য প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ জানান। আর এসব বিষয় নিশ্চিত করতে যেসব উদ্যোগের সুপারিশ করা হয়েছে, তার মধ্যে একটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

চিঠিতে নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, সাংবাদিকদের কারাদণ্ড, প্রতিপক্ষকে গুম, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা ও বানচাল করে দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে, যার অনেকগুলোর স্বপক্ষে সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে।

তবে, বেশ কয়েকটি অভিযোগের কোনো প্রমাণ নেই। একটি অভিযোগে বলা হয়েছে, 'শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের হিন্দু জনসংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। বাড়িঘরে লুট ও অগ্নিসংযোগ, মন্দির ও মূর্তি ভাঙচুর, হত্যা, ধর্ষণ ও জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করে দেওয়ার কারণে হিন্দুরা বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার সরকার একইসঙ্গে সংখ্যালঘু খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে—তাদের উপাসনালয়ে অগ্নিসংযোগ ও লুট, যাজকদের কারাদণ্ড ও কেউ ধর্ম পরিবর্তন করলে তাদের পারিবারিক সম্পর্ক ভেঙে দেওয়া হচ্ছে'—এগুলো একেবারেই সত্য নয়। কোনোভাবেই সরকারকে এসব 'অপরাধের' জন্য দায়ী করা যায় না। আমরা এই চিঠির লেখকদের আহ্বান জানাই, তারা যেন এসব তথ্যগত ভুল স্বীকার করে নেন এবং সংশোধন করেন।

তবে, সবকিছুর পরেও নতুন মার্কিন ভিসা নীতি থেকে তৈরি হওয়া মূল প্রশ্নটি এখনো প্রাসঙ্গিক—আগামী নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করা, যা এ দেশের মানুষের সার্বজনীন দাবি।

সারা বিশ্ব যাই বলুক না কেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। এটা আমাদের করা উচিত নিজেদের স্বার্থে, নিজেদের মানুষ ও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই। আসুন এটা মেনে নেই যে, আমরা এই প্রক্রিয়াটিকে প্রহসনে পরিণত করেছি এবং আমাদের জনগণ এর পুনরাবৃত্তি মেনে নেবে না। অতীতের ভুল শুধরানোর জন্য যা যা সম্ভব, সবই করতে হবে। আসুন এটা উপলব্ধি করি যে, আমরা বিশ্বায়নের যুগে বসবাস করছি, যেখানে অনেক পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে এবং সূক্ষ্ম অর্থনৈতিক সমন্বয়ের বিষয়টিকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে রাখতে হবে।

এ ছাড়া, আমাদের শ্লোগান 'ডিজিটাল বাংলাদেশ'র অর্থও আরও ভালো করে হৃদয়ঙ্গম করতে হবে। আমরা ডিজিটাল হচ্ছি, একইসঙ্গে ডিজিটাল হচ্ছে পুরো পৃথিবীও। কিছুক্ষেত্রে বাকি পৃথিবী আরও বেশি গতিতে ডিজিটাল হচ্ছে। এর অর্থ, আমরা যা করছি, পুরো বিশ্ব তা তাৎক্ষণিকভাবেই জেনে যাচ্ছে। পৃথিবীর কোনো দুর্গম অঞ্চলে অনুভূত অল্প মাত্রার ভূমিকম্পের খবর যেভাবে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পুরো বিশ্ব জেনে যায়, ঠিক একইভাবে বাংলাদেশের দুর্গম কোনো এলাকায় হওয়ায় অতি সামান্য ভোট কারচুপির খবরও তাৎক্ষণিকভাবে সবাই জানতে পারে।

হ্যাঁ, আমরা চাইলেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অন্যান্য মাধ্যম বন্ধ করে রাখতে পারি। কিন্তু, তেমন কিছু হলেও তথ্যের প্রবাহ বন্ধ হবে না। আমাদের দাবিগুলো প্রকৃত তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে যাচাই করা হবে এবং এই যাচাইয়ের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে আমাদের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রতিষ্ঠিত হবে কিংবা মুখ থুবড়ে পড়বে।

সুতরাং, আমরা চাইলেই কোনো কিছু লুকাতে পারব না। যদি ভেবে থাকি যে লুকাতে পারব, তাহলে সেটা কেবল নিজেদেরই বোকা বানানো হবে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য আমাদেরকে অবশ্যই আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। এর ওপর আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। এখনো এর জন্য আমাদের হাতে সময় আছে।

মাহফুজ আনাম: সম্পাদক ও প্রকাশক, দ্য ডেইলি স্টার

অনুবাদ করেছেন মোহাম্মদ ইশতিয়াক খান

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka cannot engage with non-state actors: foreign adviser

Md Touhid Hossain also emphasised that peace and stability in the region would remain elusive without a resolution to the Rohingya crisis

35m ago