নির্বাচনের আগে হয়রানিমূলক মামলা না করার সিদ্ধান্ত: আইনমন্ত্রী

Law minister
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ফাইল ছবি

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজন করাকে নির্বাচন কমিশন চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কোনো ধরনের হয়রানিমূলক মামলা না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

সংসদীয় কাজে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, 'নির্বাচনকে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছে এবং এসব চ্যালেঞ্জসমূহ উত্তরণের জন্য ১১ দফা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।'

দফাগুলোর মধ্যে আছে-বিশিষ্ট নাগরিক ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সংবিধান ও নির্বাচনী আইন অনুযায়ী অধিকাংশরা যে সুপারিশগুলো করেছে তা বাস্তবায়ন। সব রাজনৈতিক দল যেন নির্বাচনী প্রচারকাজ নির্বিঘ্নে করতে পারে সে বিষয়ে সরকারের কাছে প্রস্তাব রাখা। সরকারের কোনো সংস্থা কর্তৃক হয়রানিমূলক মামলা না করা। 

এছাড়া, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী-সমর্থক দ্বারা প্রার্থী, সমর্থক, তাদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আক্রমণ না করা এবং এমন হলে আইন অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া। নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা, বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়া।

সিদ্ধান্তের মধ্যে আরও আছে, নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে সভা এবং নির্বাচনে তারা যেন আন্তরিকতা ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্বপালন করেন সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা প্রদান। 

ভোটকেন্দ্র এবং নির্বাচনী এলাকার স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন। নির্বাচনী আচরণবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালন এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিমালার কোন বিধি ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এক্সিকিউটিভ ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ। 

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন। যোগ্য ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষণেরে জন্য দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগসহ বিধিসম্মতভাবে প্রয়োজনীয় সব সিদ্ধান্ত নেওয়া।

ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সংলাপ করেছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, 'সংবিধান, আরপিও সংক্রান্ত মতবিনিময় সভার আলোচনা, প্রচলিত বিভিন্ন আইন ও বাস্তবতার নিরিখে একটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন তৎপর আছে।'

তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে নিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে আগ্রহ প্রকাশ করে আসছে। নির্বাচনের ফলাফল যেন সব ভোটার ও অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় অর্থাৎ নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে সব কার্যক্রম সংবিধান, আইন, বিধি অনুযায়ী গ্রহণ এবং যথাযথ প্রয়োগের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

মন্ত্রী বলেন, 'নির্বাচন কমিশন আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব প্রার্থীর প্রতি সমআচরণ, নির্বাচন কমিশনের অধিক সংখ্যক যোগ্য কর্মকর্তাকে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ, নিরপেক্ষ প্রিজাইডিং-সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগ, নির্বাচনের দায়িত্বপালনকারী কারও বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ প্রমাণ সাপেক্ষে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি বা নির্বাচনী আইন ও বিধি অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে।'

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

9h ago