বন কেটে পাখির জন্য অভয়ারণ্য বানাচ্ছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

পাখির প্রাকৃতিক আবাসস্থল বন কেটে পাখিদের জন্য একটা অভয়ারণ্য বানাচ্ছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। চট্টগ্রামের উত্তর কাট্টলি এলাকায় বনবিভাগের তত্ত্বাবধানে বঙ্গোপসাগরের তীরে গড়ে ওঠা ম্যানগ্রোভ বন কেটে এ অভয়ারণ্য তৈরি করা হচ্ছে। এর জন্য ছোট-বড় মিলিয়ে ৫ হাজার ১২টি গাছ কাটা হয়েছে।

শনিবার সারাদেশে যখন পরিবেশের সুরক্ষার দাবি জানিয়ে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করা হচ্ছিল, তখনই চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন গাছ কাটা শুরু করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় অবৈধ দখলে থাকা বেশ কিছু জমি উদ্ধার করে সেখানে ডিসি পার্ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, যেখানে পাখি ও বন্যপ্রাণীদের আশ্রয়স্থলসহ একটা গ্রিন এরিয়া তৈরি করা হবে।

তার দাবি, জায়গাটি এক নম্বর খতিয়ানভুক্ত খাস জায়গা। আগের অবৈধ দখলদাররা সেখানে বিষ দিয়ে গাছগুলো মেরে ফেলেছিল। সেই মরা গাছ তারা সেখান থেকে সরিয়ে নিয়েছেন।

কিন্তু ডেইলি স্টারের হাতে আসা ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, তারা যে গাছগুলো কেটে ফেলেছেন, সবগুলো গাছই সজীব ও জীবন্ত ছিল।

'পত্রিকার মারফত জানতে পারলাম যে এটা বন আইনের ৪ ধারায় নোটিফায়েড। কিন্তু বনবিভাগ এখনো এই সংক্রান্ত কোনো কাগজ দেখাতে পারেনি', যোগ করেন ডিসি।

চট্টগ্রাম উপকূলীয় বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ওই বনটি ১৯৯১ সালে বনবিভাগের সৃজন করা বন এবং ১৯৮৫ সালে গেজেট দেওয়ার মাধ্যমে এটাকে ৪ ধারায় নোটিফায়েড করা হয়েছে। সেখানকার মোট ১২টা কেওড়া গাছ ও প্রায় ৫ হাজার বাইন গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।'

'বনের গাছ কাটতে হলে বনবিভাগের অনুমতির প্রয়োজন হয়। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সে ধরনের কোনো অনুমতি আমাদের কাছ থেকে নেয়নি। বন আইনের ৪ ধারায় নোটিফায়েড মানে এটাকে সংরক্ষিত বন হিসেবে ভবিষ্যতে ঘোষণা করা হবে', বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
Gunfight

Local BNP leader shot dead in Dhaka’s Badda

When Kamrul was sitting on a chair on the roadside and talking with 2-3 people, two assailants on foot came from behind and shot him before fleeing the scene

3h ago