৬৬,৫৬৬ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের শূন্যপদ ৩৭,৯২৬
দেশে বর্তমানে ৬৬ হাজার ৫৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৭ হাজার ৯২৬টি শূন্যপদ রয়েছে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, শূন্যপদের মধ্যে প্রধান শিক্ষক পদে ২৯ হাজার ৮৫৮টি এবং সহকারী শিক্ষক পদে ৮ হাজার ৬৮টি শূন্য আছে।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।
সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'শূন্যপদগুলো পূরণ করার পরিকল্পনা সরকারের আছে। প্রধান শিক্ষকের সরাসরি নিয়োগযোগ্য ১ হাজার ৯৫৫টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে গত ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে রিকুইজিশন পাঠানো হয়েছে।'
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমানের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, 'দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট শিক্ষকের সংখ্যা ৪ লাখ ২৭ হাজার ৯৭১টি। এর মধ্যে কর্মরত আছেন ৩ লাখ ৯০ হাজার ৪৫ জন।'
সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য খালেদা খানমের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, 'প্রতিটি জেলায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিটি বিভাগে একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা আছে। বর্তমানে দেশে ২টি নারী বিশ্ববিদ্যালয় আছে। যার মধ্যে একটি বেসরকারি ও অন্যটি আন্তর্জাতিক নারী বিশ্ববিদ্যালয়।'
সরকারদলীয় সংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চৌধুরীর এক প্রশ্নের এক উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে শিক্ষা সনদ জালিয়াতি বন্ধে একটি অটোমেশন সফটওয়্যার প্রবর্তনের কাজ চলছে। সফটওয়্যারটি চালু হলে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সব তথ্য সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে এবং অনলাইনে পৃথিবীর যেকোনো স্থান থেকে সনদ যাচাই করা যাবে। এতে সনদ জালিয়াতি বন্ধ করা সম্ভব হবে।'
'ইতোমধ্যে জাল সনদধারী ৬৭৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে,' বলেন তিনি।
Comments