শেষ দুই বলের আগে যা ভাবছিলেন জাদেজা
মনে হচ্ছিল তীরে এসেও তরী বোধহয় এবার ভেড়াতে পারল না চেন্নাই সুপার কিংস। কিন্তু বারবার রঙ বদলের পর শেষ দুই বলেই যে অপেক্ষা করছিল আসল রোমাঞ্চ। তাতে বাজিমাত করে নায়ক রবীন্দ্র জাদেজা। চেন্নাইকে চ্যাম্পিয়ন করার পর জানালেন ওই সময়টায় কি খেলা করছিল তার মনে।
শেষ দুই ওভারে দরকার ২১, শেষ ওভারে চাই ১৩। মোহিত শর্মার করা ২০তম ওভারের প্রথম ৪ বল থেকে ৩ রানের বেশি নিতে পারলেন না শিভম দুভে আর জাদেজা।
শেষ দুই বলে দরকার ১০। ম্যাচ তখন স্পষ্ট গুজরাট টাইটান্সের দিকে হেলে। মোহিতের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং তখন হার্দিক পান্ডিয়ার মুখেও রাখছিল ভরসার ছবি।
পঞ্চম বলটার আগে কিছুটা সময় নিল গুজরাট। হার্দিক কিছু একটা পরামর্শ দিলেন মোহিতকে। স্নায়ুচাপ ধরে রাখতে এই সময় হীতে বিপরীত হয়েছে তাদের।
মোহিতের পঞ্চম বলটা পায়ের কাছে পেয়ে সোজা তোলে মারলেন জাদেজা। ছক্কা হয়ে যাওয়ার পর মুহূর্তেই বদলে গেল চিত্রপট। এবার চাপ উল্টো হয়ে গেল। সেই চাপেই কাবু মোহিত শেষ বলটা ফেললেন লেগ স্টাম্পের উপর। ফাইন লেগ দিয়ে ঠেলে বাউন্ডারি পার করে উল্লাসে দৌড় দিলেন জাদেজা।
ম্যাচ জেতানোর নায়ক জাদেজা পরে জানান, অন্য কোন কিছু না ভেবে কেবল জোরে ব্যাট ঘোরাতে চেয়েছিলেন তিনি, 'আমি কেবল ভাবছিলাম আমাকে দ্রুত ব্যাট ঘোরাতে হবে, যতটা আমি পারি। বল যেখানেই যাক আমি না ভেবেই জোরে মারার চেষ্টা করেছি। আমি নিজের উপর ভরসা করে সোজা খেলেছি। কারণ আমি জানতাম মোহিত স্লোয়ার বল মারতে পারে।'
অনেক বছর ধরেই চেন্নাই সুপার কিংসের সাফল্যের নায়কদের একজন জাদেজার বাড়ি আবার গুজরাটেই। গুজরাটের মাঠেই গুজরাটকে হারিয়ে পাওয়া সাফল্য বিশেষভাবে দেখতে চান তিনি। ট্রফিও তিনি উৎসর্গ করছেন দলের বিশেষ সদস্যকে, 'আমি গুজরাটের, এটা বিশেষ অনুভূতি। সমর্থকরা দারুণ কারণ তারা বৃষ্টি থামার জন্য মাঝ রাত অবধি অপেক্ষা করেছে। আমি সিএসকে ভক্তদের বড় অভিনন্দন জানাতে চাই। আমি এই জয় আমাদের দলের বিশেষ সদস্য এমএস ধোনিকে উৎসর্গ করছি।'
Comments