‘গাড়ি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন বিএনপি নেতা চাঁদ’

আজ বৃহস্পতিবার বক্তব্য রাখেন পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবদুল বাতেন | ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য আবু সাঈদ চাঁদ গাড়ি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। সে সময় রাজশাহী মহানগর ও জেলা পুলিশের যৌথ অভিযানে তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী মহানগর পুলিশের সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আবদুল বাতেন এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, 'আমাদের কাছে তথ্য ছিল রাজশাহী মহানগরের কোনো জায়গায় তিনি পালিয়ে থাকতে পারেন কিংবা আত্মগোপন করতে পারেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতে মহানগর ও জেলা পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট স্থাপন করে। গাড়ি নিয়ে পালানোর সময় আজ সকাল ১১টায় বেড়ীপাড়া মোড় থেকে তাকে আটক করা হয়।'

তিনি জানান, রাজনৈতিক দল বিএনপির কর্মসূচি ছিল গত ১৯ মে। তারই অংশ হিসেবে পুঠিয়া থানাধীন বানেশ্বরের কাছে একটি স্কুল মাঠে রাজশাহী জেলা বিএনপির উদ্যোগে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেই অনুষ্ঠানে অনেক নেতা বক্তব্য রেখেছেন, রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদও বক্তব্য রাখেন। অসংখ্য মানুষের সামনে, প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। সেটি বিভিন্ন মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সারা দেশে এটি নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

বাতেন বলেন, 'তার পরিপ্রেক্ষিতে পুঠিয়া থানায় তার (চাঁদ) বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়। এছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশসহ বিভিন্ন ইউনিট তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালায়।'

'যে জায়গা থেকে (চাঁদ) হত্যার হুমকি দিয়েছে, সেই পুঠিয়া থানার মামলায় তাকে আমরা গ্রেপ্তার করব,' বলেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে বাতেন বলেন, 'এর আগেও তার বিরুদ্ধে ২০-২৫টি মামলা রয়েছে। বছরের পর বছর বিভিন্ন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে হুমকির অভিযোগে রাজশাহী জেলা ও মহানগরের বিভিন্ন থানায় প্রায় ৬-৭টি মামলা হয়েছে। রাজশাহীর বাইরেও বিভিন্ন জায়গায় মামলা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সেসব মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এগুলোর ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেবে।'

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

7h ago