খুলনায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জ-গুলি, আহত ৩০ আটক ১০

খুলনায় প্রেসক্লাব সংলগ্ন এলাকায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে। ছবি: হাবিবুর রহমান/স্টার

খুলনায় পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিএনপির পূর্বঘোষিত সমাবেশে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং টিয়ারগ্যাস ও শটগানের গুলি ছুঁড়েছে বলে বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ।

এ সময় অন্তত ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি তাদের। আহতদের মধ্যে দিঘলিয়ার সেনাটি ইউপি সদস্য মুজিবুর রহমান, যুবদল নেতা জাহিদুর রহমানের নাম জানা গেছে। পুলিশ বিএনপির ১০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে বলে জানা গেছে।

পুলিশের দাবি, প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের সরে যেতে বলায় তারা পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে পুলিশের ১১ সদস্য আহত হয়েছেন। 

আজ শুক্রবার বিকেল ৪টায় খুলনা প্রেসক্লাব সংলগ্ন এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

খুলনা বিএনপি সূত্র জানায়, সরকারের পদত্যাগ, মামলা ও গণগ্রেপ্তার বন্ধ, সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদ এবং ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে প্রেসক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ আহ্বান করে বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

কিন্তু সমাবেশে আসা বিএনপি নেতাকর্মীদের একটি মিছিলে পুলিশের বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত।

খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিনা উস্কানিতে পুলিশ সমাবেশ পণ্ড করতে গুলি ও টিয়ারগ্যাস ছোঁড়ে এবং লাঠিচার্জ করে। এতে আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হয়েছে। তাদের বিভিন্ন ক্লিনিকে নেওয়া হচ্ছে।'

'আহতদের নামসহ বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে,' বলেন তিনি।

জানতে চাইলে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (সাউথ) তাজুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিএনপির নেতাকর্মীদের পূর্বনির্ধারিত অনুষ্ঠান ছিল প্রেসক্লাবের ভেতর ব্যাংকোয়েট হলে। কিন্তু তাদের কিছু কেন্দ্রীয় নেতা এলে তারা প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে বসে পড়ে।'

'তখন পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের সরে যেতে বললে, তারা পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। পরবর্তীতে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে তাদের ওপরে টিয়ারশেল ও শটগানের গুলি ছোঁড়ে,'যোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, 'ঠিক কতগুলো গুলি করা হয়েছে তা হিসাব করছি। তবে আমাদের ১১ সদস্য আহত হয়েছে।'
 

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

1h ago