আইপিএল

আইসিইউতে থাকা বাবার জন্য খেলেছেন লক্ষ্ণৌকে জেতানো মহসিন

mohsin khan

শেষ দুই ওভারে লাগত ৩০ রান। নাবিন উল হকের ১৯তম ওভার থেকে ১৯ রান নিয়ে ম্যাচ অনেকটা মুঠোয় নিয়ে গিয়েছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।  ক্রিজে তখন সময়ের অন্যতম দুই হিটার টিম ডেভিড আর ক্যামেরন গ্রিন। তবু তাদের দমিয়ে রেখে দলকে দারুণ জয় পাইয়ে দিলেন মহসিন খান। ম্যাচ শেষে এই তরুণ জানালেন অসুস্থ বাবার জন্য অমন তীব্র তাড়না নিয়ে খেলেছেন তিনি।

মঙ্গলবার আইপিএলের ম্যাচে মুম্বাইকে ৫ রানে হারায় লক্ষ্ণৌ। ১৭৭ রান তাড়ায় ১৯ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৭ রানে পৌঁছে গিয়েছিল মুম্বাই। ডেভিড খেলছিলেন ১৭ বলে ২৯ রানে, গ্রিন সবে ক্রিজে এসেছেন। অমন পরিস্থিতিতে ক্রুনাল পান্ডিয়া বল দেন মহসিনের হাতে। প্রথম দুই ওভারে ২১ রান দেয়া মহসিন স্নায়ু চাপের মধ্যে মেলে ধরেন নিজেকে। স্লোয়ার, লেংথ আর ইয়র্কার মিলিয়ে ব্যাটারদের চেপে ধরেন। ওই ওভার থেকে মুম্বাই নিতে পারে কেবল ৫ রান।

দুর্দান্ত জয় এনে দিয়ে লক্ষ্ণৌর মাঠে উৎসবের মধ্যমণি হয়ে যান তিনি। ৪৭ বলে ৮৯ রান করা মার্কাস স্টয়নিস ম্যাচ সেরা হলেও ২৬ রানে ১ উইকেট নেওয়া মহসিনই যেন আসল নায়ক।

পরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে জানান, কদিন ধরে গুরুতর অসুস্থ তাকা বাবার জন্য তীব্র আকুতি নিয়ে নেমেছিলেন তিনি, বাবাকে খুশি করতে খেলতে চেয়েছেন সেরাটা দিয়ে,  'দুঃখজনক হচ্ছে আমার বাবা হাসাপাতালে আইসিইউতে ছিলেন, গতকালই ছাড়া পেয়ে বাড়ি গিয়েছেন। ম্যাচটা তাই আমি বাবার জন্য খেলছিলাম। বাবা হয়ত দেখেছেন, বলতে চাই তার জন্যই খেলেছি। ১০ দিন তিনি আইসিইউতে ছিলেন। আজ আমার ওভার হয়তো তাকে আনন্দিত করেছে।'

গত আইপিএলে নজর কাড়া মহসিন এই মৌসুমে আলো ছড়াতে পারছিলেন না। মাঝে চোটের জন্য লম্বা সময় বাইরে ছিলেন। টুর্নামেন্টের শেষ দিকে ছন্দ ফিরে পেয়ে স্বস্তি তার, দলকে প্রতিদান দিতে পেরেও খুশি তিনি,  'মাঝে ইনজুরিতে ছিলাম, এক বছরের গ্যাপ পড়েছিল। গতকাল যেভাবে বল করেছি তাতে আমি খুশি, যেটা চেয়েছি হয়েছে।'

'দল ভরসা করেছিল, প্রতিদান দিয়েছি। আগের কিছু ম্যাচে বাজে বল করার পরও আমার উপর তারা আস্থা রেখেছে, শেষ ওভার দিয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Bus electrocution in Gazipur: 3 IUT students die, 15 injured

The three students, in a panic, attempted to jump off the bus but were electrocuted after they came in contact with the electrified body of the vehicle

26m ago