সেন্টমার্টিন থেকে

‘বাতাস ভেজা বালি পর্যন্ত উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে’

সেন্টমার্টিনের দুপুর সোয়া ১টার অবস্থা। ছবি: তকি উসমানি/স্টার

ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে সেন্টমার্টিনে সাগর এখন অত্যন্ত উত্তাল। একইসঙ্গে প্রচণ্ড বাতাস ও বৃষ্টি।

আজ রোববার দুপুর সোয়া ১টার দিকে টেলিফোনে সেন্টমার্টিন থেকে পর্যটন ব্যবসায়ী তকি উসমানি খোকা ও তৈয়ব উল্লাহ এ তথ্য জানিয়েছেন।

পর্যটন ব্যবসায়ী তকি উসমানি খোকা বলেন, 'সেন্টমার্টিনে এখন প্রচণ্ড বাতাস, বাতাসের গতি অত্যন্ত বেশি। বৃষ্টিও অনেক বেশি। সাগর খুব বেশি উত্তাল।'

বাড়িঘরে পানি উঠেছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'পানির অবস্থা দুপুর ২টার পর বলতে পারব। এখন বাইরে বের হয়ে দাঁড়াতেও পারছি না।'

জোয়ার সম্পর্কে তকি বলেন, 'ভাটা শেষ হয়ে সকাল সাড়ে ১০টার পর জোয়ার শুরু হয়েছে। পূর্ণ জোয়ার হবে বিকেল ৩টার দিকে। তখন পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।'

আপনি এখন কোথায় আছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'হাসপাতালের আশ্রয়কেন্দ্রে আছি।'

আশ্রয়কেন্দ্রে কত মানুষ আছে এবং খাবার পাচ্ছেন কি না, জানতে চাইলে তকি উসমানি বলেন, 'আশ্রয়কেন্দ্র এখন লোকে পরিপূর্ণ। দাঁড়ানোর জায়গাও নেই। সকালে দিয়েছিল এক পিস ড্রাইকেক '

দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা আছে আশ্রয়কেন্দ্রে, প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'দুপুরে খাবারের কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। মানুষ এখনই ক্ষুধার কষ্টে আছে। খাবারের কোনো ব্যবস্থাই তো করা হয়নি। মানুষ খাবে কী।'

তৈয়ব উল্লাহ বলেন, 'অবস্থা খারাপ। খুউব খারাপ। কী হবে বুঝতে পারছি না। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করেন। জীবনে এরকম প্রবল বাতাস দেখি নাই। ঘরের চাল উড়ে যাচ্ছে। সবকিছু ভেঙ্গে পড়ছে। ভেজা বালি পর্যন্ত উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে।'

দ্বীপে পানি ঢুকেছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এখনো পানি ঢোকেনি। কিন্তু যে অবস্থা দেখছি, তাতে মনে হচ্ছে কিছুক্ষণের মধ্যে পানি ঢুকে পড়বে। আমাদের নেটওয়ার্কে পাবেন না।'

বঙ্গোপসাগরের মধ্যে ৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্ট মার্টিনের লোকসংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। এরমধ্যে শুক্রবার দুপুরের মধ্যেই প্রায় ২ থেকে আড়াই হাজার মানুষ দ্বীপ ছেড়ে টেকনাফে চলে গেছেন। বিভিন্ন সূত্রের খবর, বাকিদের মধ্যে সাড়ে ৪ হাজারের মতো মানুষ ৩টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রসহ দ্বীপের ৩৭টি হোটেল রিসোর্ট-কটেজে ঠাঁই নিয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Beximco workers' protest turns violent in Gazipur

Demonstrators set fire to Grameen Fabrics factory, vehicles, vandalise property

1h ago