ঘূর্ণিঝড় মোখা: বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে যা জানাল পিডিবি

ঘূর্ণিঝড় মোখার অবস্থান। ছবি: উইন্ডি.কম থেকে নেওয়া

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখা যখন বাংলাদেশে আঘাত হানবে, বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে তখন সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটতে পারে।

আজ শনিবার এই তথ্য জানিয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)।

পিডিবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আকারে আগামীকাল রোববার বাংলাদেশের কক্সবাজারসহ অন্যান্য স্থানে আঘাত হানতে পারে। সেই সময় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটতে পারে। স্পষ্টতই দুর্যোগকালীন বিদ্যুৎ উৎপাদন, বিতরণ ও সঞ্চালন ব্যবস্থা নানাভাবে ব্যাহত হয়। ইতোমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে মহেশখালির ২টি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে গতকাল রাত ১১টায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা অঞ্চলে শনিবার গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। এ সময় চট্টগ্রাম, মেঘনাঘাট, হরিপুর ও সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ বা আংশিক চালু থাকবে। তবে পরবর্তীতে ঝড়ের পরিস্থিতি বিবেচনায় দ্রুত গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে।
 
'এ ছাড়া বৃষ্টি ও বৈরি আবহাওয়ার কারণেও প্রায়শ বিতরণ ও সঞ্চালন ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটে। বৈদ্যুতিক লাইনে ডালপালাসহ গাছ ভেঙ্গে পড়ার ঘটনা ঘটে। এতে বৈদ্যুতিক লাইন ও পোল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটে যান্ত্রিক ত্রুটি। সুতরাং এরকম বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে গাছ সরানোসহ যান্ত্রিক ত্রুটি সারাতে কিছুটা সময় প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায়ও বৈদ্যুতিক সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সব কারিগরি কর্মীরা সদা তৎপর আছেন।'

পিবিডি আরও বলেছে, বিদ্যুৎ প্রাণঘাতী। তাই বৈদ্যুতিক ছেঁড়া তারের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলার জন্য সবাইকে বিশেষভাবে সতর্ক করা হচ্ছে। ঝড় থেমে গেলেও আপনারা কোনোভাবেই ছেঁড়া তার সরাবেন না। বিদ্যুৎকর্মীরাই ছেঁড়া তারের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন। পাশাপাশি আপনাদেরকে বৈদ্যুতিক ছেঁড়া তার দেখামাত্র নিকটস্থ বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করার জন্য বিশেষ অনুরোধ করা হলো।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

3h ago