সাইক্লোন, টাইফুন ও হারিকেনের পার্থক্য কী

১৯৯৯ সালে ভারতের ওড়িশায় আঘাত হানা সাইক্লোনের স্যাটেলাইট ছবি

সাইক্লোন, টাইফুন ও হারিকেন—সবগুলোই সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়। এগুলোর সব ক্ষেত্রেই প্রবল ঘূর্ণিবাতের সঙ্গে উপকূল ভাসিয়ে নেওয়া জলোচ্ছ্বাস ও ভারী বৃষ্টি হয়। অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, তাহলে এগুলোর মধ্যে পার্থক্য কী?

ওয়ার্ল্ড মেটেওরলজিক্যাল অর্গানাইজেনশনের ওয়েবসাইটে এই তিন ধরনের সামুদ্রিক ঝড়ের পার্থক্য জানানো হয়েছে।

হারিকেন

উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের পশ্চিমাঞ্চল, মধ্য এবং পূর্ব উত্তর প্রশান্ত মহাসাগর, ক্যারিবিয়ান সাগর এবং মেক্সিকো উপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়কে 'হারিকেন' বলা হয়। যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, কিউবা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে হারিকেন আঘাত করে।

টাইফুন

উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিমাঞ্চলে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়কে বলা হয় 'টাইফুন'। চীন, তাইওয়ান, ফাইলিপাইন ও জাপানে প্রায় প্রতি বছরই টাইফুনের কারণে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়।

সাইক্লোন

বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় 'সাইক্লোন' হিসেবে পরিচিত। সাইক্লোনের কারণে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও ভারতে প্রচুর জানমালের ক্ষতি হয়।

এ ছাড়াও, দক্ষিণ পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর এবং দক্ষিণ-পূর্ব ভারত মহাসাগরের ঘূর্ণিঝড়কে বলা হয় সিভিয়ার ট্রপিক্যাল সাইক্লোন। আর দক্ষিণ-পশ্চিম ভারত মহাসাগরে একে ট্রপিক্যাল সাইক্লোন বলা হয়।

যেসব এলাকায় ঘূর্ণিঝড় হয় না

পৃথিবীর বিষুব রেখা বরাবর সাগরে সাধারণত কোনো ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় না। বিষুব রেখা থেকে উত্তর ও দক্ষিণে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়। অন্যদিকে দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরেও কোনো ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় না।

পুনশ্চ: কোনো টাইফুন তার এলাকা থেকে সরে গিয়ে হারিকেন প্রবণ অঞ্চলে প্রবেশ করলে একে তখন একে হারিকেন হিসেবেই ডাকা হয়। একইভাবে কোনো হারিকেন দিক পরিবর্তন করে টাইফুনের এলাকায় চলে এলেও একে তখন টাইফুন বলা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh at a historic crossroads: Dr Kamal Hossain

Eminent jurist Dr Kamal Hossain today said Bangladesh stands at a turning point of history following recent mass uprisings

1h ago