ম্যাচ ভেস্তে গেলেও নিজেদের পারফরম্যান্সে খুশি হাসান
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে ইংল্যান্ডে গিয়ে যেন বৃষ্টি পিছু ছাড়ছে না বাংলাদেশের। একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচ ভেসে যাওয়ার পর প্রথম ওয়ানডেতেও হয়নি ফলাফল। তবে যা খেলা হয়েছে তাতে নিজেদের পারফরম্যান্সে কোন খামতি দেখছেন না তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ। তার মতে ম্যাচে তারা ছিলেন বেশ ভালো অবস্থাতেই।
মঙ্গলবার চেমসফোর্ডে আগে ব্যাট করে ২৪৫ রান জড়ো করে বাংলাদেশ। আড়াইশর নিচে পুঁজি নিয়ে খেলা জেতার একটা শঙ্কা ছিল। রান তাড়ায় আয়ারল্যান্ডের ইনিংসের শুরুতেই আঘাত হানেন বাংলাদেশের দুই পেসার হাসান আর শরিফুল ইসলাম।
২৭ রানে প্রতিপক্ষের দুই উইকেট তুলে নেন তারা। পরে একটা জুটির পর আঘাত হানেন তাইজুল ইসলাম। ৩ উইকেটে ৬৫ রানের পর বৃষ্টিতে আর খেলা হয়নি।
ম্যাচ শেষে হাসান জানালেন খেলা ফল আসত তাদের পক্ষে, 'বোলিংয়ে আমাদের যে পরিকল্পনা ছিল- ফোর্থ থেকে ফিফথ স্টাম্পে ওদেরকে বল করা, স্টাম্প টু স্টাম্প বল করা, জায়গা না দেওয়া, যতটুকু সম্ভব স্টাম্পে বল করা, সুইং ও নতুন বলের ব্যবহার করতে পারা। যতটুকু সম্ভব সামনে বল করা। আমরা মোটামুটি খুব ভালো শুরু করেছি আমি ও শরিফুল। ওদের দুইটা উইকেট পড়েছে আমাদের স্পেলে, পরে তাইজুল ভাই একটা নিয়েছে। আমরা খুবই ভালো অবস্থায় ছিলাম।'
ইংল্যান্ডে গ্রীষ্মের শুরুতে উইকেট থেকে পেসারদের অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। মুভমেন্ট আর বাড়তি বাউন্স দিয়ে ব্যাটারদের ফেলা যায় পরীক্ষায়। হাসান বললেন পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডের পরামর্শ অনুযায়ী কন্ডিশনের সুবিধা কাজে লাগাতে চেয়েছেন তারা, 'এরকম কন্ডিশনে ভালো করার একটাই পথ- ডোনাল্ড যেটা বলেছে যতটুকু সম্ভব ব্যাটারকে সামনে খেলানোর চেষ্টা করা। বক্সের মধ্যে বল করা। স্টাম্প টু স্টাম্প যদি বল করতে পারি তাহলে খুব ভালো হয় আর কী। অ্যাভারেজে খুবই ভালো একটা ফিগার দাঁড়ায়।'
হাসান ও শরিফুল দুজনের বোলিং ফিগার ছিল একই। সমান ৫ ওভার করে বল করে দুজনেই ২১ রান দিয়ে নিয়েছেন একটি করে উইকেট। ইবাদত ৪.৩ ওভার বল করে ১৫ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।
শুক্রবার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে দুদল।
Comments