রবীন্দ্রসাহিত্যে নতুন গতিপথের প্রেরণা পূর্ববঙ্গের সাধারণ মানুষ: সৈয়দ আকরম হোসেন
'রবীন্দ্রনাথকে ঘিরে জমিদারতন্ত্রের মিথ আমাদের সমাজে প্রচলিত রয়েছে। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ আগাগোড়া একজন স্বনির্মিত মানুষ। তিনি পারিবারিক ব্যবসায়ের সূত্রে পূর্ববঙ্গের বিভিন্ন জেলায় এসেছেন; এসব অঞ্চলের সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নের চেষ্টা যেমন করেছেন তেমনি রবীন্দ্রসাহিত্যে নতুন গতিপথের প্রেরণাও দিয়েছেন পূর্ববঙ্গের সাধারণ মানুষ'
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে একক বক্তৃতায় আজ সকালে কথাগুলো বললেন বিশিষ্ট রবীন্দ্র গবেষক অধ্যাপক সৈয়দ আকরম হোসেন। বাংলা একাডেমি আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। স্বাগত ভাষণ দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।
সেলিনা হোসেন বলেন, রবীন্দ্রনাথ আমাদের ব্যক্তিগত এবং জাতীয় জীবনজুড়ে ব্যাপ্ত আছেন। তাঁর চিন্তা ও মানবিক আদর্শ আমাদের চলার পথকে কুসুমাস্তীর্ণ করে, আলোকের ঝর্ণাধারায় হাত ধরে নিয়ে চলে।
মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, রবীন্দ্রনাথ আমাদের শান্তি, সমৃদ্ধি ও মঙ্গলের বাতিঘর। আমরা রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য এবং জীবন থেকে পাই সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার এবং ঋদ্ধ হওয়ার প্রয়োজনীয় প্রেরণা।
শুরুতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা আবৃত্তি করেন বাচিকশিল্পী মাহিদুল ইসলাম এবং সায়েরা হাবীব। রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী বুলবুল ইসলাম এবং কমলিকা চক্রবর্তী। সঞ্চালনা করেন কাজী রুমানা আহমেদ সোমা।
অনুষ্ঠান শেষে রবীন্দ্র-গবেষণায় সামগ্রিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শিল্পী শীলা মোমেনকে বাংলা একাডেমি প্রবর্তিত রবীন্দ্র পুরস্কার ২০২৩ প্রদান করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখকের হাতে পুষ্পস্তবক, সনদ, সম্মাননা-স্মারক ও পুরস্কারের অর্থমূল্য ২ লাখ টাকার চেক তুলে দেন অতিথিরা।
Comments