ধারের টাকা ফেরত চাওয়ায় বন্ধুকে খুন: পুলিশ

রংপুরে আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী নিহত
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ইকরাম হোসেন মোল্লার মরদেহ উদ্ধারের একদিন পর পুলিশ জানিয়েছে, টাকা-পয়সার লেনদেন ও ক্ষোভের জেরে বন্ধুরা তাকে হত্যা করেছে।

ইকরামকে (২২) হত্যার পর বন্ধুরা ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মরদেহ ডোবায় ফেলে দেয় বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ক্যান্টনমেন্ট জোন) ইফতেখাইরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বৃহস্পতিবার থেকে ইকরাম নিখোঁজ ছিলেন। এ ঘটনায় তার পরিবার খিলক্ষেত থানায় গত শুক্রবার দুপুরে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে।'

স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে গতকাল শনিবার ডুমনির বালুচর এলাকা সংলগ্ন একটি ডোবা থেকে ইকরামের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পরিবারের সদস্যরা তার মরদেহ শনাক্ত করেন।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা কবির হোসেন মোল্লা খিলক্ষেত থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

পরে মোবাইল ফোনের যোগাযোগ খতিয়ে দেখে প্রথমে ইকরামের বন্ধু শান্তকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর হত্যাকাণ্ডে আরেক সন্দেহভাজন আবু সিদ্দিকের জড়িত থাকার কথা জানান শান্ত।

ইকরাম পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর খিলক্ষেতের ডুমনি এলাকায় থাকতেন।

পুলিশ জানায়, ইকরামের সঙ্গে একই এলাকার শান্তর টাকা-পয়সার লেনদেন সংক্রান্ত ঝামেলা চলছিল। শান্তকে বালুর ব্যবসার জন্য ২ লাখ টাকা ধার দিয়েছিলেন ইকরাম। লাভের অংশ ঠিকঠাক না দেওয়ায় শান্তর কাছ থেকে টাকা ফেরত চান ইকরাম। কিন্তু শান্ত তা না দেওয়ার পায়তারা করছিলেন।

অপর অভিযুক্ত সিদ্দিকও ইকরামের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। সিদ্দিকের ধারণা ছিল, মায়ের কাছে তার নামে বিচার দিয়েছেন ইকরাম। এ নিয়ে সিদ্দিকের সঙ্গে তার মায়ের ঝগড়া হয় এবং সিদ্দিক গত ৫ দিন ধরে বাসার বাইরে অবস্থান করছিলেন। অভিযুক্ত শান্ত ও সিদ্দিক তাদের ক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে ইকরামকে হত্যা করার পরিকল্পনা সাজান বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ আরও জানায়, শান্ত বৃহস্পতিবার ইকরামকে ফোন করে ডুমনি বালুচর এলাকায় ডেকে নিয়ে যান এবং ভ্রমর, হাতুড়ি ও কাটার ব্যবহার করে তাকে হত্যা করেন। পরে তার মরদেহ পাশের ডোবায় কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে রাখার চেষ্টা করা হয়।

এ ঘটনায় শান্ত আজ রোববার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পুলিশ আসামি সিদ্দিকের ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

Comments

The Daily Star  | English

Renewable ambitions still mired in uncertainty

Although the Awami League government made ambitious commitments to renewable energy before being ousted by a mass uprising in August last year, meeting those lofty goals remains a distant dream for the country.

11h ago