আশ্রয়ণের জমি নিয়ে বিরোধ, এলাকাবাসীর হামলায় ইউএনও আহত
ফরিদপুরে মধুখালীতে একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধের জেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) ওপর হামলা হয়েছে।
আহত ইউএনও আশিকুর রহমান চৌধুরীকে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়ার পর ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ইউএনওর গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। হামলায় আহত কয়েকজন আনসার সদস্যকে মধুখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এলাকাবাসী ও হামলার প্রত্যক্ষদর্শীরা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ওই গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য একটি জায়গা চিহ্নিত করেছিল উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু এলাকাবাসীর দাবি জমিটি খাস নয় বরং ব্যক্তি মালিকানাধীন। এ নিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে প্রশাসনের বিরোধ তৈরি হয়।
তারা আরও জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে এলাকার নারীরা ওই জমিতে আশ্রয়ণের ঘর না করার দাবিতে মানববন্ধন করেন। খবর পেয়ে ইউএওনও আনসার সদস্যদের নিয়ে সেখানে যান।
তাদের দাবি, আনসার সদস্যরা মানববন্ধনের ব্যানার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় আনসার সদস্যরা রাইফেলের বাট দিয়ে কয়েকজন নারীকে আঘাত করেন। এ সময় মাইকে ঘোষণা করে লোকজন ডেকে এনে হামলা চালানো হলে ইউএনওসহ কয়েকজন আনসার সদস্য আহত হন। এলাকাবাসী ইউএনওর গাড়িও ভাঙচুর করেন। পরে মধুখালী থানার পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ডুমাইনের ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান বলেন, আমি একটি সালিশে ছিলাম। ইউএনও ওই এলাকায় আসার কথা আমি জানতাম না। ইউএনরও ফোন পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই।
মধুখালী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সুমন কর জানান, পুলিশের একটি টহল দল ঘটনাস্থলের কাছাকাছি থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার গণমাধ্যমকে বলেন, ইউএনওর বাম চোখে আঘাত লেগেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেলাই দিয়ে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছে।
Comments