‘প্রতিদিন একবার সত্যজিৎ রায়ের ছবির দিকে তাকিয়ে থাকি’

সত্যজিৎ রায়, ববিতা, অশনি সংকেত,
সত্যজিৎ রায় এবং ববিতা। ছবি: সংগৃহীত

কালজয়ী চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিন আজ। জন্মদিনে সত্যজিৎ রায়কে স্মৃতিচারণ করেছেন বাংলা চলচ্চিত্রের বরেণ্য অভিনেত্রী ববিতা।

ববিতা বলেন, 'বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়কে কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছিল আমার। তার কথা শোনার, তাকে জানার সৌভাগ্য হয়েছিল। তার মতো বিরাট ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষের সঙ্গে অশনি সংকেত সিনেমায় অভিনয় করেছিলাম। আমার শিল্পী জীবনে এটি ছিল একটি বড় ঘটনা। অশনি সংকেত সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে কয়েকটি দেশের বড় বড় চলচ্চিত্র উৎসবে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। এসবই শিল্পী জীবনের প্রাপ্তি, শিল্পী জীবনের অর্জন।'

'সত্যি বলতে, সত্যজিৎ রায়ের সান্নিধ্য পাওয়া আমার জীবনের সেরা অর্জন। শিল্পী হওয়ার জন্যই তা পেরেছিলাম। সেই কত বছর আগে তার পরিচালনায় অভিনয় করি, কিন্তু আজও অশনি সংকেত নিয়ে আলোচনা হয়, প্রশংসা হয়। এত বছর পর এসেও যখন অশনি সংকেত নিয়ে প্রশংসা শুনি ভালো লাগে, অন্যরকম আনন্দ পাই। সবকিছুর কৃতিত্ব দেব সত্যজিৎ রায়কে।'

ববিতা বলেন, 'তার পরিচালনায় অভিনয় করতে গিয়ে জেনেছিলাম, তিনি কত বড় মাপের মানুষ, কত বড় মাপের পরিচালক। শুধু কী তাই তিনি বড় মাপের লেখক ছিলেন। অসম্ভব গুণী মানুষ ছিলেন। শিল্পী হিসেবে আমি তৃপ্ত, কারণ তার মতো পরিচালকের সঙ্গে কাজ করতে পেরেছি। অশনি সংকেত আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। মানুষের ভালোবাসা, খ্যাতি, সম্মান, প্রশংসা সব দিয়েছে।'

'তিনি একজন অস্কারজয়ী পরিচালক। বলা হয়, তার পরিচালিত ৪টি সেরা সিনেমার মধ্যে অশনি সংকেত একটি। সবচেয়ে সেরা হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে পথের পাঁচালী। এটা আমার জন্য পরম সৌভাগ্যের বিষয়। আমি তার কাছে ঋণী,' বলেন ববিতা।

তিনি আরও বলেন, 'আমাকে ভীষণ স্নেহ করতেন। আমিও তাকে খুব সম্মান করতাম। এখনো করি। আমার বাসায় সত্যজিৎ রায়ের অনেকগুলো ছবি আছে। যত্ন করে রেখে দিয়েছি। প্রতিদিন একবার করে সত্যজিৎ রায়ের ছবির দিকে তাকিয়ে থাকি। শ্রদ্ধা করি বলেই তাকাই। তার প্রতি আমার শ্রদ্ধা থাকবে সারাজীবন।'

Comments

The Daily Star  | English

Dengue cases see sharp rise in early July

Over 1,160 hospitalised in first 3 days, total cases cross 11,000

10h ago