পোশাক কারখানায় গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে দগ্ধ ১৮
গাজীপুরের কাশিমপুরের দক্ষিণ জরুন এলাকার একটি পোশাক কারখানায় গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে ১৮ জন দগ্ধ হয়েছেন।
আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে কটন বিডি পোশাক কারখানায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কোনাবাড়ী জোনের সহকারী কমিশনার দিদারুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, দগ্ধদের ১১ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিটিউটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তারা হলেন, সবুর আলী (৩৫) ফজলুল হক (৫২) আসলাম সিকদার (২৮) আব্দুল হক হক ৬০ সোহেল রানা ৩০) আল আমিন গাজী (৩৪) চান মিয়া(৫০) সাহাবুল ইসলাম (৩৫) মো. হৃদয় (১৭) মো. খোকন (৪৫) ফজলুল হক (৫১)। এছাড়া, ঢাকা মেডিকেল কলেজ বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন- রফিকুল ইসলাম (৩০), কামাল হোসেন (৫০), আবুল হোসেন (৫৫), আরিফুল ইসলাম (২২), তছির উদ্দিন (৩২), শফিকুল ইসলাম (২৮), মো. রাশেদ (৩৪)।
কারখানাটির ফ্লোর ইনচার্জ মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, 'আজ মে দিবসে কারখানা বন্ধ ছিল। কিন্তু, আগামীকাল বিদেশি বায়ার আসার কথা আছে। এজন্য সকাল থেকে কিছু কর্মচারী ও ক্লিনার নিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও ফ্লোর ডেকোরেশনের কাজ চলছিল।'
তিনি আরও বলেন, 'কারখানার বাইরের দিকে গ্যাস নিয়ন্ত্রণ কক্ষ আছে। সেখান থেকে গ্যাস লিকেজ হয়ে আগুন ধরে যায়। তখন কর্মচারীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। হঠাৎ বিকট শব্দে কক্ষটি বিস্ফোরণ হয়। এতে আমাদের ১৮ জন কর্মচারী দগ্ধ হয়। পরে তাদেরকে বার্ন ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয়।'
কারখানার মহা ব্যবস্থাপক (অপারেশন) প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম জানান, 'মে দিবসে কারখানা বন্ধ থাকায় গ্যাস লাইনে চাপ (প্রেশার) বেড়ে যায়। এতে গ্যাস সরবরাহ রুম (আরএমএস) কক্ষের একটি ভালব লিকেজ থেকে ফেটে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। কারখানা কর্তৃপক্ষ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভায়। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় ক্লিনিক এবং পরে ঢাকায় পাঠানো হয়।
বার্ন ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, 'গাজীপুর থেকে ১১ জন রোগী বার্ন ইনস্টিটিউটে এসেছে। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন। তবে, সবারই শ্বাসনালী দগ্ধ হয়েছে। এদের কাউকেই আশঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না।'
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) আব্দুল্লাহ-আল আরেফিন ডেইলি স্টারকে জানান, কারখানার একটি কক্ষে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে প্রথমে আগুন লাগে এবং পরে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কয়েকজন দগ্ধ হয়েছেন।
Comments