রমিজ বললেন, 'গ্রামের সার্কাসের ভাঁড়ের মতো পাগলাটে কিছু'
পাকিস্তানের ক্রিকেটে ফিরেছেন মিকি আর্থার। দলটির সাবেক প্রধান কোচকে এবার আছেন নতুন ভূমিকায়। তাকে টিম ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তে বেজায় খেপেছেন দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান রমিজ রাজা।
দক্ষিণ আফ্রিকান আর্থারের ফেরার গুঞ্জন কিছুদিন ধরে চলছিল। অবশেষে তা রূপ নিয়েছে বাস্তবে। গতকাল বৃহস্পতিবার আর্থারকে আনুষ্ঠানিকভাবে টিম ডিরেক্টর হিসেবে নিযুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে তার কর্মপদ্ধতি যা হবে, তা চমক জাগাতে বাধ্য।
ইংলিশ কাউন্টি দল ডার্বিশায়ারের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালনের মাঝেই পাকিস্তানের টিম ডিরেক্টরের ভূমিকায় থাকবেন আর্থার। বেশিরভাগ সময় সশরীরে দলের সঙ্গে থাকবেন না তিনি। মূলত অনলাইনেই সারবেন কাজ। আর এখানেই আপত্তি পাকিস্তানের সাবেক তারকা ক্রিকেটার রমিজের।
ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে রমিজ শুক্রবার স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, 'প্রথমবারের মতো এমন একজন কোচ বা ক্রিকেট ডিরেক্টরকে বেছে নেওয়া হলো যিনি দূর থেকে পাকিস্তান ক্রিকেটকে পরিচালনা করবেন, যার পাকিস্তান ক্রিকেটের চেয়ে কাউন্টির চাকরিতে দায়বদ্ধতা আগে। এটা গ্রামের সার্কাসের কোনো ভাঁড়ের মতো পাগলাটে কিছু।'
পিসিবির বর্তমান চেয়ারম্যান নাজাম শেঠির সমালোচনাতেও মুখর হয়েছেন তিনি, 'একজন পিসিবি চেয়ারম্যান (দায়িত্বে আছেন) যিনি ক্রিকেট বোঝেন না, সম্ভবত ক্লাবের খেলাতেও একাদশে জায়গা করে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট ভালো ছিলেন না, রাজনৈতিক মদদপুষ্ট ও ক্ষুদ্র স্বার্থান্বেষী ক্লাব পরিচালকদের ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রধান হিসেবে পাকিস্তান ক্রিকেট পরিচালনা করেন মাসে ১২ লাখ (রুপি) বেতন নিয়ে।'
আপাতত আগামী ১০ মাস পাকিস্তানের টিম ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করবেন আর্থার। চলতি বছরের শেষদিকে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে তাকে ফেরানো হয়েছে।
২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধান কোচ ছিলেন আর্থার। তার অধীনে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে ভালো করলেও টেস্টে আশানুরূপ পারফরম্যান্স দেখাতে পারেনি দলটি। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর দায়িত্ব ছাড়তে হয় তাকে। তার পরিবর্তে প্রধান কোচ হয়েছিলেন মিসবাহ উল হক।
Comments