চট্টগ্রামে ফুটপাতে জমে উঠেছে ঈদের বেচাকেনা

ফুটপাতে চলছে বেচাকেনা। ছবি: রাজীব রায়হান/স্টার

মুসলমানদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম নগরের ফুটপাতে বেচাকেনা জমে উঠেছে।

ক্রেতা সমাগম বাড়ায় রাস্তার পাশের ক্ষুদ্র বিক্রেতারা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।

বিক্রেতারা জানান, মূলত নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষই ফুটপাতের দোকানের ক্রেতা।

বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনকালে নগরীর চকবাজার, আন্দরকিল্লা, নিউমার্কেট, ষোলশহর ২ নম্বর গেট, আগ্রাবাদ, সিইপিজেড, জুবিলি রোড, স্টেশন রোড ও বহদ্দারহাট এলাকায় ফুটপাথের ধারে অস্থায়ী দোকান ও রিকশা ভ্যান থেকে শার্ট, টি-শার্ট, প্যান্ট, জুতা, থ্রি পিস ও শিশুদের পোশাক কেনার জন্য মানুষের ভিড় দেখা গেছে।

নোয়াখালীর বাসিন্দা আবদুল হামিদ চকবাজার এলাকায় শিশুদের পোশাক বিক্রি করছিলেন। তিনি জানান, বছরের এই সময়ে বিক্রি বেশ ভালো হয়, তাই তারা অধীর আগ্রহে রমজান মাসের জন্য অপেক্ষা করেন।

'সাধারণত আমার প্রতিদিনের বিক্রি ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা। কিন্তু রমজান মাসে বিক্রি অনেকাংশে বেড়ে যায়। ঈদুল ফিতরের ১০ দিন আগে বিক্রি বেড়ে দৈনিক ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়', বলেন তিনি।

হামিদের দোকানে শিশুদের পোশাকের দাম ২০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে।

ফুটপাতে চলছে বেচাকেনা। ছবি: রাজীব রায়হান/স্টার

বাকালিয়া এলাকার বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম, যিনি পেশায় একজন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক, সোমবার হামিদের দোকান থেকে তার ৩ বছরের মেয়ের জন্য ২০০ টাকায় একটি পোশাক কিনেছেন।

তিনি বলেন, 'ফুটপাথের দোকান থেকে কাপড় কেনা ছাড়া আমার কোনো বিকল্প নেই।'

স্বল্প আয়ের মানুষ রাস্তার পাশের দোকানে প্রচুর ভিড় করলেও মধ্যম আয়ের মানুষরাও রাস্তার পাশের অস্থায়ী দোকান থেকে কাপড় কিনছেন।

ইমরান হোসেন নামে এক শিক্ষার্থী জানান, জুবিলী রোডের রাস্তার পাশের দোকান থেকে তিনি ৩০০ টাকায় একটি শার্ট কিনেছেন।

'আমি প্রায়ই ফুটপাতের দোকান থেকে কেনাকাটা করি', বলেছেন ইমরান। তিনি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার বাসিন্দা।

জুবিলী রোড এলাকার জিন্স প্যান্ট বিক্রেতা মো. খালেদ এখন পর্যন্ত বিক্রিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ঈদের কয়েকদিন আগে ক্রেতার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিক্রি আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সম্মিলিত হকার্স ফেডারেশনের সভাপতি মীরন হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চট্টগ্রাম শহরের ফুটপাতে প্রায় ২৫ হাজার হকার কাপড় বিক্রি করেন।'

'ফুটপাথের দোকানে ঈদের বেচাকেনা সাধারণত রমজানের শেষ ১০ দিনে জমে ওঠে। মূলত নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের লোকেরাই ফুটপাতের দোকানের ক্রেতা', বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'শিক্ষার্থীসহ মধ্যম আয়ের কিছু লোকও ফুটপাতে কেনাকাটা করতে আসেন। কারণ তারা ফুটপাথের দোকান থেকে সস্তা দামে পোশাক কিনতে পারেন।'

Comments

The Daily Star  | English

IMF sets new loan conditions

Bangladesh must clear dues, hit steep revenue, reserve targets for next tranche

8h ago