ঈদে কিনতে পারেন মণিপুরি শাড়ি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে এখন সহজেই অনুমান করা যায় হাল ফ্যাশনে কী চলমান। ফ্যাশন ব্লগার ও ইনফ্লুয়েন্সারদের কল্যাণে এটি আরো সহজ হয়ে উঠেছে।
চাইলেই ফ্যাশন ট্রেন্ড থেকে এখন আর ছিটকে পড়া সম্ভব নয়। বরং নিত্য নতুন ফ্যাশন ট্রেন্ডের প্রেমে পরতে আপনি বাধ্য। মণিপুরি শাড়ির মতো চমৎকার ঐতিহ্যবাহী সৌন্দর্য উপেক্ষা করা যে কোনো নারীর কাছেই বেশ কঠিন। চলতি ফ্যাশনে মণিপুরি শাড়ি বেশ জনপ্রিয় অবস্থানে রয়েছে।
বাংলাদেশের সিলেট থেকে তৈরি এই শাড়িগুলো উজ্জ্বল রঙ এবং নিজস্ব শৈলীতে বৈশিষ্ট্যযুক্ত। 'নাচের শাড়ি' শাড়ি হিসেবে পরিচিত এই আরামদায়ক নরম শাড়িগুলো হালকা তুলা দিয়ে তৈরি। নরম তুলার ব্যবহারের কারণে শাড়িগুলো গ্রীষ্মকালীন উৎসবের জন্য উপযুক্ত।
মোহনীয় রঙ এবং হাতে তৈরি মণিপুরি শাড়ির নানন্দিক ডিজাইন যে কোনো উৎসবের জন্য মানানসই। এই শাড়ি শুধুমাত্র মার্জিত কারুশৈলী নয় বরং পরতেও বেশ আরামদায়ক। এবারের ঈদ গ্রীষ্মকালীন সময় হওয়ার কারণে মণিপুরি শাড়ি হবে আরামদায়ক। সাম্প্রতিক সময়ে ঐতিহ্যবাহী শাড়িগুলোর বুননে বেশ পরিবর্তন এসেছে। নকশা আর ডিজাইনের ভিন্নতার কারণে ফ্যাশন প্রেমীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই মণিপুরি শাড়ি। যেকোনো অনুষ্ঠান কিংবা উৎসবে সহজেই মানিয়ে যায় এই শাড়িগুলো।
গয়না ছাড়া নারীর সাজ যেন অসম্পূর্ণ। মণিপুরি শাড়ির সঙ্গে অনেক ধরনের গয়নাই পরা যায়, তবে এর সঙ্গে রুপার গয়নার জুড়ি নেই। সরু রুপার চেইনের সঙ্গে ছোটো একটা পেন্ডেন্ট স্নিগ্ধতার পাশাপাশি আভিজাত্যের রূপ দেবে। আর সাজে পরিপূর্ণতা আনতে গেলে কানে ছোট রুপার ইয়ার রিং আর হাতে রুপার বালা বা ব্রেসলেট। এই ঈদে রুপায় বাঁধানো বালা বেশ ট্রেন্ডি। তাছাড়া ঈদ শপিংয়ের উইশলিস্টে যোগ করতে পারেন রুপার চুড়ি বা ব্রেসলেট। খুব সাধারণ গয়নাগুলোই ঈদের দাওয়াতে আপনাকে অনন্য করে তুলবে।
মণিপুরি শাড়ির সঙ্গে ট্রেডিশনাল লুক দিতে 'জুত্তি' বা 'নাগরা'র জুড়ি মেলা ভার। আর যদি মণিপুরি শাড়ির সঙ্গে আধুনিক ছোঁয়া যোগ করার পরিকল্পনা করেন তবে একজোড়া 'স্ট্র্যাপি হিল' শাড়িটিকে সমসাময়িক লুক দেবে।
শাড়ি, জুয়েলারি, জুতা তো হলো। এরপরে আসে মেকআপের বিষয়। মণিপুরি শাড়ির সঙ্গে ভারী সাজের চেয়ে হাল্কা সাজই বেশি মানানসই। তবে রাতের অনুষ্ঠানে গোলাপি বা লাল লিপিস্টিক ব্যবহার করা যেতে পারে। নুড মেকআপ, স্মোকি চোখের সাজের এই শাড়ির সঙ্গে মানিয়ে যায় সহজেই।
অনুবাদ করেছেন আসিয়া আফরিন চৌধুরী
Comments