আইপিএল

‘৪৩ বছরের ক্যারিয়ারে এমন মিরাকল দেখিনি’

Rinku Sing
অবিশ্বাস্য কাণ্ড ঘটিয়ে ছুটছেন রিঙ্কু সিং। ছবি-আইপিএল

গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে নিজেদের জয়কে মিরাকল মনে হচ্ছে কলকাতা নাইট রাইডার্স কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের। হবে না-ই বা কেন? শেষ ওভারে দরকার ২৯ রান, এমন সমীকরণ টানা পাঁচ ছক্কায় মিলিয়ে দেবেন কেউ! সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেট মাঠেই যে এমন দৃশ্য দেখা যায়নি। বাঁহাতি ব্যাটার রিঙ্কু সিং যা করে দেখিয়েছেন তাকে অবিস্মরণীয় বলছেন চন্দ্রকান্ত।

রোববার রাতে আহমেদাবাদে ২০৫ রান তাড়ায় এক পর্যায়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে কলকাতা।  শেষ ৪ ওভারে যখন দরকার ৫০ রান, তখনো সম্ভাবনা ছিল। ক্রিজে ছিলেন আন্দ্রে রাসেল। কিন্তু  ১৭তম ওভারে এসে রশিদ খান করে ফেলেন হ্যাটট্রিক। পর পর আউট করেন রাসেল, সুনিল নারাইন আর শার্দুল ঠাকুরকে। মোহাম্মদ শামির পরের ওভারে কেবল ৫ রান নিতে পারেন রিঙ্কু-উমেশ যাদব।

শেষ দুই ওভারে চাই ৪৩ রান। ভীষণ কঠিন পরিস্থিতিতে ১৯তম ওভারের শেষ দুই বলে জস লিটলকে ছক্কা-চার মেরে অঙ্কের সম্ভাবনা জারি রাখেন রিঙ্কু। যশ দয়ালের শেষ ওভারের প্রথম বলে উমেশ এক রান নিয়ে স্ট্রাইক দেন রিঙ্কুকে। এরপরই ইতিহাস। একে একে পাঁচ ছক্কা মেরে খেলা শেষ করে দৌড় লাগান রিঙ্কু।

ম্যাচ শেষে ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের সঙ্গে আলাপে চন্দ্রকান্ত বলছেন, এটা মিরাকল, 'দেখুন এটা মিরাকল। কোন সন্দেহ নেই। রিঙ্কু সিং এভাবে ব্যাট করতে পারে। আমরা সম্মিলিতভাবে একদম বিশ্বাস হারাইনি, রিঙ্কুও বিশ্বাস করেছে।'

চন্দ্রকান্ত জানান ১৯তম ওভারের আগ পর্যন্ত একটা সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছিল তাদের। তবে শেষ ওভারে যা হয়েছে তা স্রেফ মিরাকল,  'দেখুন শেষ দুই ওভারে তারা ৪৫ রান করেছে। আমাদের একই অবস্থায় ৪৩ রান লাগত। আমি ভাবছিলাম তারা করতে পারলে আমরাও করতে পারব যেকোনো কিছু। আমরা কথা বলছিলাম। তবে সত্যি কথা বলতে শেষ ওভারে ২৯ রান ভার্চুয়ালি অসম্ভব ব্যাপার। কেবল গাণিতিকভাবে সম্ভব ছিল। কিন্তু মিরাকল হয়ে যায়, রিঙ্কু সেই মিরাকলটা করল।'

ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম সেরা কোচ চন্দ্রকান্ত জানান, খেলোয়াড়, অধিনায়ক ও কোচ হিসেবে তার গোটা ক্যারিয়ারে এরকম দৃশ্য তিনি দেখেননি। কয়েকটি উদাহরণ   দিয়েও বুঝিয়েছেন ৬১ বছরের এই সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার,  'আমি দলকে বলেছি ৪৩ বছরের ক্যারিয়ারে খেলোয়াড়, অধিনায়ক এবং কোচ হিসেবে এরকম ম্যাচ, এরকম ইনিংস আমি দেখিনি। এটা অবিস্মরণীয়।'

'কিছু ম্যাচের কথা মনে পড়ছে আমার। রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে একবার রবি শাস্ত্রী দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেট নিয়েছিল যখন বেশি রান ছিল না। এরপরে শাস্ত্রী একবার ছয় বলে ছয়টা ছক্কা মারল। আমি দুটি ম্যাচই খেলেছি। চেতন শর্মার বলে শারজায় জাভেদ মিয়াঁদাদ শেষ বলে ছক্কা মেরেছিল। চেন্নাইতে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আমরা যে টেস্টটা ড্র করলাম আমি সেটারও অংশ ছিলাম। রিঙ্কুর মিরাকল এসব কিছুকে ছাপিয়ে গেছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Public gatherings banned in key Dhaka areas from May 18: ISPR

Restrictions imposed to maintain order near Chief Adviser’s Office, military zones

6m ago