শিল্পী সমিতির দপ্তর সম্পাদকের বিরুদ্ধে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্যের অভিযোগ অরুণা বিশ্বাসের

অরুণা বিশ্বাস। স্টার ফাইল ছবি

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক আরমানের বিরুদ্ধে শরীর নিয়ে 'কুরুচিপূর্ণ ও অসম্মানজনক' মন্তব্য করার অভিযোগ তুলেছেন সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য অরুণা বিশ্বাস।

এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আজ শনিবার চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বাংলাদেশি সিনেমার একসময়ের জনপ্রিয় এই নায়িকা।

লিখিত অভিযোগে অরুণা বিশ্বাস বলেন, 'আমি গত ২ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় উপস্থিত হই। সভা শেষ হওয়ার প্রাক্কালে সমিতির দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জনাব আরমান আমাকে আমার শরীর সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ ও অসম্মানজনক মন্তব্য করে। একজন সিনিয়র শিল্পী হিসেবে আমি অপমানিত ও অসম্মানিত বোধ করছি এবং মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি।'

চিঠিতে অরুণা বিশ্বাস আরও বলেন, 'একজন দপ্তর ও প্রচার সম্পাদকের নিকট থেকে এইরূপ কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য আমি কখনো আশা করি না। জনাব আরমান যা করেছেন তা ইভটিজিংয়ের সামিল।'

এর বাইরে সেদিনের সভায় ঢোকার সময় সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিকও তার প্রতি 'অসম্মানজনক' মন্তব্য করেন বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন অরুণা বিশ্বাস। এ বিষয়ে তিনি বলেন, 'এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় উপস্থিত হওয়াই অসম্ভব হয়ে পড়বে।'

জানতে চাইলে অরুণা বিশ্বাস আজ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সেদিন বৈঠক শেষে আরমান আমার শরীর নিয়ে অশালীন কথা বলেছেন। সেখানে আমি প্রতিবাদ করেছি। আমার শরীর নিয়ে এমন বাজে কথা তিনি বলতে পারেন  না। আমি শিল্পী সমিতির কাছে এই বিষয়ে আজ চিঠি দিয়েছি।' 

১৯৮৬ সালে রাজ্জাক পরিচালিত 'চাঁপাডাঙ্গার বউ' ছবিতে বাপ্পারাজের বিপরীতে নায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন অরুণা বিশ্বাস।

চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরুর আগে 'বহুবচন' নাট্যদলের হয়ে মঞ্চে অভিনয় করেন তিনি।

অরুণা বিশ্বাস অভিনীত উল্লেখযোগ্য কিছু সিনেমা হলো 'পরশপাথর', 'দুর্নাম', 'সম্মান', 'কৈফিয়ত', 'মায়ের কান্না', 'গণ আন্দোলন' ইত্যাদি।

অরুণা বিশ্বাস বর্তমানে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের একজন সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

8h ago