‘বোলিং কাউকে করতেই হবে এমন কোনো কথা নেই’
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে সাকিব আল হাসান দুই ইনিংস মিলিয়ে বল করেছেন ১৬ ওভার। তৃতীয় দিনে আইরিশ ব্যাটারদের দাপটের মাঝে ৯০ ওভারের মধ্যে তাকে বিচ্ছিন্নভাবে বল করতে দেখা গেছে কেবল ৬ ওভার। তার এত কম বল করার কারণ বুঝতে না পারার কথা জানিয়েছিলেন পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডও। ম্যাচের পর এই ব্যাপারে বাংলাদেশ অধিনায়ক দিয়েছেন নিজের ব্যাখ্যা।
প্রথম ইনিংসে ৬৫ ওভার পর বল করতে এসে মাত্র ৩ ওভার বল করে সাকিব ছিলেন উইকেটশূন্য। ১৫৫ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য প্রথমেই বল হাতে নিতে দেখা যায় তাকে। দ্বিতীয় দিন বিকেলে ৭ ওভার বল করে ২ উইকেটও নেন তিনি।
তৃতীয় দিন নেমেও সকালে বোলিং শুরু করেন সাকিবই। টানা দুই ওভার বল করার পর খানিক বিরতির পর করেন এক ওভার। লাঞ্চের ঠিক আগে ফিরে করেন আরও এক ওভার। দিনের মাঝের সময়টায় আর বলই করেননি। নতুন বল হাতে নিয়ে আবার বল করতে এসে দুই ওভার বল করতে দেখা যায় তাকে।
সাকিবের কম বোলিংয়ের দিনে মাত্র ৪ উইকেট খুইয়ে পুরো দিন পার করে দেয় আয়ারল্যান্ড। ১৩১ রানের লিড নিয়ে দারুণ দিন পার করে ফেলে তারা। হ্যারি টেক্টর-লোরকার টাকারের ৭৪ রানের জুটি, টাকার-অ্যান্ডি ম্যাকব্রেইনের ১১১ রানের জুটির সময় বাকি বোলাররা হতাশ করলেও আক্রমণে আসেননি সাকিব।
শুক্রবার ম্যাচ শেষে সাকিবের কাছে কারণ জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান সবার বল করা জরুরী না, 'নাহ। ওরকম তো কোনো ব্যাখ্যা নেই। বোলিং কাউকে করতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। আপনার কাছে পাঁচ-ছয় রকমের অস্ত্র থাকলে সব অস্ত্র ব্যবহার করার দরকার নেই তো সবসময়।'
প্রতিপক্ষ বড় জুটি করলেও তিনি বল করতে এলে ভালো হতো কিনা এমন প্রশ্নে সাকিবের পাল্টা প্রশ্ন, 'এটার মানে কী আমি ছাড়া বাংলাদেশ দলের বোলিং চলে না?'
এরপরই সাকিব জানান, বাকি বোলারদের উপর ভরসার কারণেই তার এমন কম বল করা, 'আমাদের যথেষ্ট বোলার আছে বিশ উইকেট নেওয়ার মতো, আমার তাদের প্রতি বিশ্বাস আছে। সেটা ওরা করে দেখিয়েছে। বিশেষত এমন একটা জায়গাতে খেলা হয়েছে এ ধরনের পিচে আমরা খুব বেশি খেলি না। প্রথম তিনদিন খুবই ভালো উইকেট ছিল আমি বলবো, মিরপুরে সাধারণত তিনদিন এত ভালো উইকেট থাকে না। এমনকি আজকেও ভালো উইকেট ছিল।'
এই টেস্টে বিশেষজ্ঞ তিন পেসার ও তিন স্পিনার নিয়ে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। আক্রমণাত্মক মানসিকতা থেকেই ছয়টি বোলিং অপশন নিয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ, 'আপনার যদি বিশ উইকেট নিতে হয়, বোলিং অপশনটা বেশি নিতে হবে। এটার বিকল্প আসলে নেই। কম বোলিং অপশন তখনই থাকে যখন আপনি রক্ষণাত্মক মানসিকতায় থাকেন। ড্র করার চিন্তা বা কোনো রকম ব্যাটিংটা ভালো করার চিন্তা থাকে। যখন আপনি জিততে চাইবেন পাঁচ বোলার, ছয় বোলারের অপশন নিয়ে খেলবেন। বড় বড় দলগুলো এরকম অবস্থাতে তারা আছে। বিশেষত আপনি যদি ইংল্যান্ড- ভারতে দেখেন, ওদের পাঁচ-ছয়জন মেইন বোলার; ছয়জন ব্যাটার নিয়ে ওরা খেলে।'
Comments