বঙ্গমাতা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

ছাত্রীকে কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখার অভিযোগে তদন্ত কমিটি

ছবি: স্টার

জামালপুরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থীকে হলে ডেকে নিয়ে জুনিয়র শিক্ষার্থীর সামনে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

অভিযুক্ত নূরে জান্নাত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক এবং ফিশারিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সোমবার প্রক্টরের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এবং ভুক্তভোগীকে উপাচার্য কামরুল হাসান হাসপাতালে দেখতে গিয়ে জানান, এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার করা হবে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. এ এইচ এম মাহবুবুর রহমানের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ছাত্রলীগ নেত্রী তাকে দেখা করতে বলেন। এরপর রোববার দুপুরে ওই ছাত্রলীগ নেত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। এ সময়ে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক ছাত্র সম্পর্কে কিছু তথ্য জানতে চায়। পরদিন সোমবার সকালে তাকে আবারও ডাকেন ছাত্রলীগ নেত্রী। এ সময় তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় এবং জুনিয়র এক শিক্ষার্থীর সামনে তাকে কান ধরে দাঁড়িয়ে রাখা হয়।

এ সময় সে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতলে ভর্তি করা হয়।

অভিযোগের পর ওই শিক্ষার্থীকে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। 

এ ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে আছেন, প্রক্টর এ এইচ এম মাহবুবুর রহমান এবং সহকারী প্রক্টর ড. মাহমুদুল আলম, সৈয়দ নাজমুল হুদা, এস এম ইউসূফ আলী, এস এম রফিকুল বারী। 

কমিটিকে আগামী কাল শুক্রবারের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। 

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে এবং এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুটি গ্রুপ তৈরি হয়েছে। এক পক্ষ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবি জানিয়েছেন। অপর পক্ষ মিথ্যা হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার পর তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলেও সন্ধ্যায় আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর প্রথমে জামালপুর সদর হাসপাতাল এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য শহরের বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন ওই ছাত্রলীগ নেত্রী। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তবে, অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর অসুস্থতার বিষয়ে বলেন, ওই ছাত্রী আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। শুধু শুধু তাকে এ বিষয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. এ এইচ এম মাহবুবুর রহমান বলেন, 'আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত কমিটি বিষয়টি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে দেখছেন। বিষয়টা সত্য, নাকি সাজানো এখনি বলা যাচ্ছে না। আমরা তদন্ত শেষে আপনাদের জানাতে পারবো।'

 

Comments

The Daily Star  | English
probe committee for past elections in Bangladesh

Govt forms committee to probe last 3 polls

Former High Court justice Shamim Hasnain has been made the chairman of the committee

2h ago