চারটি সেঞ্চুরি হওয়া উচিত ছিল বাংলাদেশের, মত সিডন্সের

Jamie Siddons
ছবি: ফেসবুক

মুশফিকুর রহিম পেলেন ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি। সাকিব আল হাসান গেলেন কাছাকাছি। লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ থামলেন হাফসেঞ্চুরির যথাক্রমে আগে ও পরে। ব্যাটারদের আক্রমণাত্মক মেজাজে খুশি হলেও আরও কয়েকটি সেঞ্চুরি না হওয়ায় আক্ষেপ ঝরল বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্সের কণ্ঠে।

বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে একমাত্র টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ৩৬৯ রানে থামে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। আগের দিনের ২ উইকেটে ৩৪ রান নিয়ে খেলতে নামা টাইগাররা পায় ১৫৫ রানের বড় লিড। এরপর আয়ারল্যান্ড দিন শেষ করে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ২৭ রান তুলে। হাতে ৬ উইকেট নিয়ে তারা এখনও ১২৮ রানে পিছিয়ে। খেলার ধারা বিচারে বাংলাদেশের সামনে রয়েছে ইনিংস ব্যবধানে জেতার হাতছানি।

ওভারপ্রতি ৪.৫৮ গড়ে রান তোলে বাংলাদেশ। মুশফিক ১২৬ রান করেন ৭৫.৯০ স্ট্রাইক রেটে। অধিনায়ক সাকিব ৯২.৫৫ স্ট্রাইক রেটে ৮৭ রানের ইনিংস খেলেন। ৪১ করা লিটনের স্ট্রাইক রেট ছিল একশর বেশি, ১০৪.৮৭। শেষদিকে ৩৮ রানে ৪ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। যোগ্য সঙ্গীর অভাবে ভোগা মিরাজ ৫৫ রানে থামলে অলআউট হয় তারা। তার ইনিংসের স্ট্রাইক রেট ছিল ৬৮.৭৫।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের যে আগ্রাসী ঢং, সেটার ছাপ এদিন দেখা গেছে টেস্টেও। দিনের খেলার পর সংবাদ সম্মেলনে সিডন্স প্রশংসা করেন খেলোয়াড়দের মানসিকতার, 'হ্যাঁ, বেশ আক্রমণাত্মক ছিল। আমরা কিছু বাজে বল পেয়েছিলাম। তাই এটা ভালো ব্যাপার যে ছেলেরা প্রস্তুত ছিল এবং তারা (সেই বলগুলো) মেরে (সীমানার) বাইরে পাঠাতে আগ্রহী ছিল। সুতরাং, রান তোলার হার দ্রুত হয়ে গেছে, যা ম্যাচটিকে সত্যিই দ্রুত এগিয়ে নিয়ে গেছে। আমরা যেভাবে ব্যাটিং করেছি, তাতে খুশি।'

'চারজন খেলোয়াড়ের একজন শতরান পেয়েছে, সম্ভবত চারটিই (সেঞ্চুরি হওয়া) উচিত ছিল। আর শেষ পর্যন্ত মিরাজের কয়েকজন সঙ্গী থাকলে (রান আরও বেশি হতো)। শেষ সেশনে ৫০ রানে ৫ (উইকেট পড়েছে)। এটিই সম্ভবত দিনের একমাত্র হতাশাজনক ব্যাপার। আর লিটন ও সাকিব সেঞ্চুরি পেতে পারত, (এই ব্যাপারটা) সম্ভবত।'

দলীয় স্কোর নিয়ে অবশ্য সন্তুষ্ট নন বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ। সাকিব ও লিটনের কাছে আরও বেশি প্রত্যাশা ছিল তার, 'হ্যাঁ (সন্তুষ্ট নই), এটা শতভাগ ঠিক। আমার মনে হয়, আরও তিনজন ব্যাটার স্কোরবোর্ডে শতরান রাখতে পারত, কমপক্ষে দুজন। সাকিব ও লিটনের উচিত ছিল ম্যাচটি (আয়ারল্যান্ডের আওতার) বাইরে নিয়ে যাওয়া। তবে আজকে (ওদের) ৪ উইকেট (পড়ে যাওয়ায়) সত্যিই দারুণ হয়েছে।'

আক্রমণাত্মক ঝাঁজ দলে নতুন আসা ক্রিকেটারদের ভেতরে ইতোমধ্যে সঞ্চারিত হতে দেখায় খুশি অস্ট্রেলিয়ান সিডন্স। আর প্রতিপক্ষ হিসেবে আইরিশরা তুলনামূলক দুর্বল বলেই বাংলাদেশ আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী, 'আমি মনে করি, আমরা এখন কিছুদিন ধরে সেটা (আক্রমণাত্মক অ্যাপ্রোচে খেলা) করছি এবং অবশ্যই, আমরা (যেহেতু) আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলছি, তাই তাদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক হতে আমরা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আমাদের বড় স্কোর করতে শিখতে হবে এবং আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আমাদের চ্যালেঞ্জ ছিল দ্রুত রান করা নিশ্চিত করা। বিশেষ করে, ওয়ানডে ম্যাচে। আমরা বিশ্বকাপে ২৪০, ২৫০ করতে পারব না। আমাদের তিনশ এবং তিনশর বেশি রান করতে হবে। তাই, এখনকার সময়টা ভালো, আমরা সত্যিই ভালো ব্যাটিং করেছি। আর টি-টোয়েন্টিতে ভালো দলের বিপক্ষেও আমাদের সেটা করতে হবে।'

'এটি আমাদের জন্য একটি ভালো চ্যালেঞ্জ ছিল এবং কিছু নতুন খেলোয়াড় যারা দলে এসেছে, তারা সত্যিই আক্রমণাত্মক এবং এটি একটি ভালো সিরিজ (আমাদের জন্য)। সেই (নতুন) প্রতিভাদের দেখতে পেয়ে সত্যিই খুশি।'

Comments

The Daily Star  | English

Crime ‘stable’ at 11 murders, 15 rapes a day!

The chief adviser's press wing goes on to assert that the official crime statistics from September 2024 to June 2025 do not "completely" support the claim that crime is sharply rising this year.

12h ago