লিড বড় করছে বাংলাদেশ
আয়ারল্যান্ডের কোন বোলারই বাংলাদেশের ব্যাটারদের সমস্যায় ফেলতে পারছিলেন না। তাদের আলগা বোলিং সুযোগ করে দিচ্ছিল মেরে খেলার। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দ্রুত রান এলো, আবার উইকেট বিলিয়ে দেওয়ার দৃশ্যও দেখা গেল। মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরিতে অবশ্য শক্ত অবস্থানে চলে গেছে বাংলাদেশ।
বুধবার মিরপুরে একমাত্র টেস্টের দ্বিতীয় দিনের চা-বিরতি পর্যন্ত বাংলাদেশ তুলেছে ৫ উইকেটে ৩১৬। প্রতিপক্ষ থেকে সাকিব আল হাসানের দল এগিয়ে গেছে ১০২ রানে। ৩১৬ রান তুলতে বাংলাদেশের লেগেছে স্রেফ ৬৪ ওভার। ৪৫টি চার আর তিনটা ছক্কা দেখা গেছে স্বাগতিকদের ইনিংস জুড়ে। ওভারপ্রতি রান উঠেছে ৪.৯৩ করে!
১৫৯ বলে ১৫ চার, ১ ছক্কায় ১২৪ রানে অপরাজিত আছেন মুশফিক। এর আগে ৯৪ বলে আগ্রাসী মেজাজে ৮৭ করে আউট হন সাকিব। লিটন দাস নেমেও খেলছিলেন অনেকটা টি-টোয়েন্টি মেজাজে। ৪১ বলে ৪৩ রান করে আলগা শটে উইকেট বিলিয়ে দেন তিনি।
৩ উইকেটে ১৭০ রান নিয়ে লাঞ্চের পর খেলতে নামেন সাকিব-মুশফিক। সাকিব ছুটছিলেন তার মতন করে। ৬ বছর পর টেস্টে সেঞ্চুরি পাওয়ার অনেক কাছে চলে গিয়েছিলেন তিনি।
আইরিশদের নির্বিষ বোলিং তাকে দিতে পারছিল না কোন হুমকি। সাকিব অবশ্য নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনেন। অ্যান্ডি ম্যাকব্রেইনের অনেক বাইরের বল তাড়া করে কিপারের হাতে জমা পড়েন তিনি। ৯৪ বলে ১৪ রানে তার ব্যাট থেকে আসে ৮৭ রান। ১৮৮ বলে ১৫৯ রানের জুটির পর ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
এরপর ছয়ে নেমে একের পর এক নান্দনিক শটের পসরা মেলে ধরেন লিটন। মুশফিকও সেঞ্চুরি তুলে খেলতে থাকেন আস্থার সঙ্গে। জুটিতে দ্রুত চলে আসে পঞ্চাশ। লিটনও ছুটছিলেন অর্ধশতকের দিকে। লেগ স্পিনার বেন হোয়াইটকে প্রথম শ্রেনীতে প্রথম উইকেট উপহার দিয়ে থামেন কিপার ব্যাটার।
ব্যাটের সামনে পাওয়া বল ইনসাইড আউটের মতো উড়াতে গিয়ে লং অফে জমা পড়েন ৪১ বলে ৪৩ করা লিটন। পরে মুশফিকের সঙ্গে ৩৭ বলে ৩০ রানের জুটি পেয়ে গেছেন মেহেদী হাসান মিরাজও।
Comments