থানায় আটকে ব্যবসায়ীকে নির্যাতনের অভিযোগ, ওসিসহ ৩ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

নাটোর
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

চাঁদা দাবি করে থানায় আটকে এক ব্যবসায়ীকে নির্যাতনের অভিযোগে নাটোরের বাগাতিপাড়া থানার ওসি ও ২ উপপরিদর্শকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার ভুক্তভোগী কাঠ ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন বাগাতিপাড়া আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদের আদালতে মামলার আবেদন করেন।

অভিযোগে বলা হয়, গত ২২ ফেব্রুয়ারি ওসি ও অপর কর্মকর্তারা নিজামকে থানায় ডেকে নিয়ে চাঁদা দাবি করে আটকে রাখেন এবং না দেওয়ায় এক পর্যায়ে মারধর করে।

বিচারক আবেদন গ্রহণ করে নাটোরের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের পুলিশ সুপারকে তদন্ত করে আগামী ১৮ মে প্রতিবেদন দেওয়ার আদেশ দেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী রাজু আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্তরা হলেন-বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম, উপপরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম ও শাকিল আহমেদ এবং সহকারী উপপরিদর্শক আবদুল করিমের স্ত্রী অঞ্জনা বেগম ও তার বাসার তত্ত্বাবধায়ক আবুল বাসার।

অভিযোগপত্রের বরাত দিয়ে আদালতের বেঞ্চ সহকারী রাজু আহমেদ ডেইলি স্টারকে জানান, আসামি অঞ্জনা বেগম বাৎসরিক ভাড়ায় নিজামউদ্দিনকে দুটি পাওয়ার টিলার ইজারা দেন। কিন্তু পাওয়ার টিলারের লাইসেন্স না থাকায় কাঠ পরিবহনের সময় তিনি বারবার পুলিশের হয়রানির শিকার হন।

এ কারণে নিজাম পাওয়ার টিলারটি অঞ্জনাকে ফেরত দেন এবং ১৫ হাজার বাকি রেখে ভাড়া পরিশোধ করেন। কিন্তু গত ২২ ফেব্রুয়ারি অঞ্জনা বেগমের হয়ে বাগাতিপাড়া থানার ওসিসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা নিজামকে থানায় ডেকে নিয়ে আটকে রাখেন।

একপর্যায়ে তারা তাকে মারধর করেন এবং ৩টি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে উল্লেখ করে সই করিয়ে নেন বলে অভিযোগে বলা হয়।

পরে ওই টাকা না দিতে পারায় গত ২৫ ও ২৭ মার্চ নিজামকে আবার আটকে করে প্রাণনাশের হুমকি দেয় অভিযুক্তরা।

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে বাগাতিপাড়া থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম নির্যাতনের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।

তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নিজাম অঞ্জনার পাওয়ার টিলার ভাড়া নেয়। কিন্তু সে ভাড়াও পরিশোধ করেনি এবং পাওয়ার টিলারও ফেরত দিচ্ছিল না। এমন অভিযোগ পেয়ে নাজিমকে ডেকে গাড়িটা ফেরত দিতে বলা হয়। পরে গাড়ি ফেরত দিয়ে তারা আপস-মীমাংসা করে নেয়।'

তিনি বলেন, 'বাদীকে নির্যাতন বা টাকা দাবি করার অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। মামলা নিয়ে আমি বিচলিত নই।'

Comments

The Daily Star  | English

Power, Energy Sector: Arrears, subsidies weighing down govt

The interim government is struggling to pay the power bill arrears that were caused largely by “unfair” contracts signed between the previous administration and power producers, and rising international fuel prices.

8h ago