'মন তো চায় ৫০০-৬০০ উইকেট নেই'

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বয়সটা এখন ৩১। এখনও ক্যারিয়ারের অনেকটাই বাকি তাইজুল ইসলামের। ক্যারিয়ার শেষে নিজেকে কতোটুকু উচ্চতায় তুলতে পারবেন এ স্পিনার, তা সময়ই বলে দিবে। তবে পাঁচশত থেকে ছয়শত উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার শেষ করতে পারলে দারুণ খুশি হতেন তিনি। যদিও কথাটি বলেছেন মজার ছলেই।

মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে মাঠে নামে বাংলাদেশ। প্রথম দিনে তাইজুলের দাপটে ২১৪ রানে গুটিয়ে গেছে আইরিশরা। একাই পাঁচটি উইকেট তুলে নিয়েছেন তাইজুল। টেস্ট ক্যারিয়ারের একাদশ বারের মতো পেয়েছেন ফাইফার।

এমন অসাধারণ পারফরম্যান্সের পর ম্যাচ সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন তাইজুল। সেখানেই তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, ক্যারিয়ারের শেষে নিজেকে কোথায় দেখতে চান। তাইজুলের উত্তর, 'মন তো চায়, ৫০০-৬০০ উইকেট নেই। বয়স হইছে বুড়া হয়ে যাই নাই তো (হাসি)।'

সেই ২০১৪ সালে কিংসটাউনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয় তাইজুলের। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে নামার আগে ৪০টি টেস্ট খেলেছেন তিনি। তবে এ সময় বাংলাদেশ টেস্ট খেলেছে ৫৩টি। টেস্ট স্পেশালিষ্ট হিসেবে দলে থাকলেও দেশের বাইরে ও উইকেট বিবেচনায় মাঝেমধ্যেই বাদ পড়তে হয়েছে তাকে। বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে সাকিব আল হাসান থাকায়ও বাদ পড়তে হয়েছে তাকে।

তবে এদিন চিরাচরিত উইকেট থেকে কিছুটা ব্যতিক্রম ছিল মিরপুরের উইকেট। অনেকটাই স্পোর্টিং উইকেট। সেখানে, তাও আবার প্রথম ইনিংসেই ফাইফার তুলে নেওয়ায় একটু বেশিই খুশি তাইজুল, 'এটা ভালো লাগার বিষয় প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট। আর উইকেটের যেমন অবস্থা এই রকম উইকেটে পাঁচ উইকেট পাওয়াটা কঠিন হয়। তো আলহামদুল্লিলাহ যে, পাঁচ উইকেট পেয়েছি।'

নিজে স্পিনার হলেও এ ধরণের উইকেটে আরও বেশি খেলতে আগ্রহী এ স্পিনার, 'এই রকম উইকেটে আমরা কন্টিনিউ দেশে খেলতে পারি। ব্যাসিক্যালি এই ধরনের উইকেটে খেলতে গেলে লাইন লেন্থ... তো এই রকম উইকেটে যদি কন্টিনিউ করতে পারি অবশ্যই বিদেশে গেলে আমাদের জন্য হেল্প হবে।'

Comments