নিজের বাকি দুটি রেকর্ডও লিটন ভাঙবেন, প্রত্যাশা আশরাফুলের

ক্রিকেটের তিন সংস্করণেই বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম ফিফটির মালিক মোহাম্মদ আশরাফুল। যার একটি আগের দিন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বিপক্ষে ভেঙেছেন লিটন কুমার দাস। রেকর্ড হারিয়ে মোটেও দুঃখিত নন আশরাফুল। উল্টো আশা করছেন বাকি দুটো রেকর্ড যেন ভাঙেন লিটনই।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আগের দিন ৭৭ রানের জয়ে ম্যাচে ৪১ বলে ৮৩ রানের বিস্ফোরক এক ইনিংস খেলেন লিটন। যেখানে মাত্র ১৮ বলে স্পর্শ করেন ফিফটি। তাতে ভেঙে যায় আশরাফুলের ১৬ বছরের পুরনো রেকর্ড। ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০ বলে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন আশরাফুল।

আর ২০০৫ সালে অজিদের হারানোর পরের ম্যাচেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ৫২ বলে খেলেন ৯৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন অ্যাশ। সে ইনিংসে ২১ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন, যা দেশের হয়ে সবচেয়ে কম বলে ওয়ানডে ফিফটির রেকর্ড। ২০০৭ সালের ভারতের বিপক্ষে টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ২৬ বলে দেশের হয়ে দ্রুততম ফিফটি করেন আশরাফুল।

লিটনের রেকর্ড ভাঙা ইনিংস নিয়ে আশরাফুল বলেন, 'রেকর্ড তো হয়ই ভাঙার জন্য। প্রায় ১৬ বছর এই রেকর্ড ছিল। এখনও টেস্ট ও ওয়ানডেতে দুইটা রেকর্ড আছে। আশা করি এই দুটাও লিটনই ভাঙবে। যেভাবে সে খেলছে, বাকি দুই ফরম্যাটেও দ্রুততম অর্ধশতক তারই হবে আশা করি।'

সেই ইনিংসটি যখন খেলেছিলেন তখন বিশ্বরেকর্ড ছিল তা মনে করিয়ে দেন এ সাবেক অধিনায়ক, 'রেকর্ড থাকলে অবশ্যই ভালো লাগে। নিজের নাম সবার ওপরে দেখতে ভালোই লাগে। ২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছিল। এটা তখন বিশ্বরেকর্ড ছিল। তার ৭ দিন পর যুবরাজ সিং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২ বলে ফিফটি করেন। ভালো লাগছে।'

গত কয়েক বছর ধরেই অসাধারণ ব্যাটিং করে যাচ্ছেন লিটন। তার ব্যাটিং দেখে রীতিমতো মুগ্ধ আশরাফুল, 'লিটনের ইনিংস নিয়ে তো বলার কিছু নেই। গত ২-৩ বছর ধরে অসাধারণ খেলছে। সব ফরম্যাটে ভালো করছে, বিশেষ করে টেস্টে যেভাবে পঞ্চাশেরও বেশি গড় নিয়ে খেলছে। এখন বাকি দুই ফরম্যাটে হাই স্ট্রাইক রেটে খেলছে। যেটা আমরা দেখতে চাই।'

এই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেই লিটন তার খেলা চালিয়ে যাবেন বলে প্রত্যাশা করছেন তিনি, 'লিটন যখন ভালো খেলে ওর ব্যাটিং দেখতে মজা লাগে। ক্লাস প্লেয়ার, ওয়ার্ল্ড ক্লাস ব্যাটার। আশা করব ধারাবাহিকতা থাকবে।'

সবমিলিয়ে পুরো বাংলাদেশ দলের খেলা দেখেই মুগ্ধ আশরাফুল, '(বাংলাদেশ দল) অসাধারণ খেলছে। বছর শুরুর আগেই সাকিব বলেছিল ২০২৩ সালে সব ফরম্যাটে ভালো ক্রিকেট খেলব। সেটার প্রমাণ আমরা দিচ্ছি। এই বছর চমৎকার ক্রিকেট খেলছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Domestic tourism heats up this winter

The local tourism industry was suffering from apprehension over the loss of business amid a long recession stemming from mass unrest, which began in July

1h ago