লিটনকে দেখলে মনে হয় ব্যাট করা কতটা সহজ: স্টার্লিং
লিটন দাস ফিফটি করে ব্যাট উঁচিয়ে ধরলেন। স্বাগতিক দর্শকদের আনন্দ স্বাভাবিক কারণেই প্রবল দৃশ্যমান। লিটনকে থামানোর চিন্তায় যার কপালে বড় ভাঁজ, মিডঅফে দাঁড়িয়ে তালি দিলেন সেই পল স্টার্লিংও। আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক ম্যাচ শেষেও জানিয়েছেন লিটনের ইনিংসে তার মুগ্ধতার কথা।
বুধবার চট্টগ্রাম আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নান্দনিক ঝড়ে লিটন উন্মাতাল করে তুলেন মাঠ। ১৮ বলে ফিফটি করে দেশের হয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েন। ৪১ বলে খেলেন ৮৩ রানের ইনিংস। তার ব্যাটে চড়েই ১৭ ওভারে ২০২ রান করে ৭৭ রানে ম্যাচ ও সিরিজ জিতে নেয় বাংলাদেশ।
একপেশে ম্যাচের পর নিজেদের ব্যর্থতার কারণ খোঁজার মাঝেও লিটনের প্রশংসায় মাতলেন তিনি। স্টার্লিং নিজেও আগ্রাসী ব্যাটার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনেক বড় প্রতিপক্ষের বিপক্ষেও বিস্ফোরক ইনিংস আছে তারও। তবে বাইশগজে লিটন যা করেন তাতে স্টার্লিংয়ের বিভ্রম হয় খেলাটা যেন কত সহজ, 'সে অসাধারণ (লিটন দাস) একজন ক্রিকেটার। আপনি জানেন সে কতটা ভালো। আমরা বিশ্বকাপেও তার এমন ইনিংস দেখেছি। তাকে দেখলে মনে হয় ব্যাট করা কতটা সহজ! তার ব্যাটিং দেখা চোখের প্রশান্তি।'
বাংলাদেশের বিশাল রান টপকানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে তাসকিন আহমেদের প্রথম বলেই লিটনের দারুণ ক্যাচে পরিণত হয়ে ফিরছিলেন পল স্টার্লিং। আউট হয়েও মুখে লেগে ছিল তার হাসির ঝিলিক! ম্যাচ শেষে জানালেন, 'ভালো একটা বলে এজড হয়ে গেছেন, জীবনটা তো শেষ হয়ে যায়নি, হতাশায় না ডুবে পরের ম্যাচের জন্য ভাবতে হবে।' স্টার্লিংয়ের জীবনদর্শনের আঁচ এতে কিছুটা পাওয়া যায়। খেলার মাঠে প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়াই করলেও, প্রতিপক্ষের ভালোটা খুঁজে নিয়ে বাহবা দিতে কার্পণ্য করেন না তিনি।
প্রথম ম্যাচেও লিটন ছিলেন এমন ঝাঁজালো। ২৩ বলে করেন ৪৭ রান। সেদিনও দুইশো ছাড়ানো পুঁজি নিয়ে প্রতিপক্ষকে লড়াইয়ের জায়গায় রাখেনি বাংলাদেশ। স্টার্লিংয়ের কণ্ঠে অসহায়ত্ব, 'আগের দিনের মতই অবস্থা হলো। আমরা উইকেট নিতে পারলাম না, রানরেটও নিয়ন্ত্রণ করতে পারলাম না। আমরা একেবারেই বিধ্বস্ত হয়ে গেছি। একদমই হতাশাজনক পারফরম্যান্স '
Comments