‘র‍্যাব হেফাজতে তার স্ট্রোক হবে কেন?’

সুলতানা জেসমিন

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৫ এর হেফাজতে নওগাঁর একটি ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের এক অফিস সহকারী মারা গেছেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি মামলার আসামি ছিলেন তিনি।

৩৮ বছর বয়সী সুলতানা জেসমিনকে গত বুধবার র‌্যাব গ্রেপ্তার করে। মস্তিষ্কে গুরুতর রক্তক্ষরণে শুক্রবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।

সুলতানা নওগাঁ সদর উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অফিস সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। তার চাচা নওগাঁর সাবেক কাউন্সিলর নাজমুল হক মন্টু বলেন, 'বুধবার সকালে সুলতানা অফিসে যাওয়ার সময় মুক্তির মোড় এলাকায় র‌্যাব সদস্যদের বহনকারী একটি সাদা মাইক্রোবাস তাকে আটকে দেয়। বিভিন্ন ক্যাম্পে খুঁজেও আমরা তাকে পাইনি। দুপুরের দিকে আমরা শুনি তাকে নওগাঁ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।'

পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে গিয়ে দেখেন সুলতানা সাড়া দিচ্ছেন না। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

মন্টু বলেন, 'র‍্যাব জানায় সে স্ট্রোক করেছে। কিন্তু সুলতানার আগে কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা ছিল না। র‍্যাব হেফাজতে তার স্ট্রোক হবে কেন?'

এ ব্যাপারে বক্তব্যের জন্য বারবার চেষ্টা করেও র‌্যাবের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ফোনে পাওয়া যায়নি।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহমেদ বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে সুলতানাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে র‌্যাব। তিনি পড়ে গিয়েছিলেন বলে জানানো হয়।

তিনি আরও বলেন, 'সুলতানা অজ্ঞান অবস্থায় ছিলেন এবং তাকে দ্রুত নিউরোলজি ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা খারাপ হতে থাকায় তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যান করে তার মাথাজুড়ে একাধিক ইন্ট্রাক্রানিয়াল রক্তক্ষরণ পাওয়া যায়। খুব দ্রুত তার অবস্থার অবনতি হয়ে যায়।'

সুলতানার মাথার বাইরের দিকে ক্ষত থাকার কথাও জানান তিনি।

নওগাঁর সহকারী কমিশনার (ভূমি) রফিকুল ইসলাম বলেন, সুলতানা এক বছর ধরে আমার অধীনে কাজ করেছেন। তার বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ শুনিনি।

Comments

The Daily Star  | English
compensation for uprising martyrs families

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

7h ago