স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দিতে হচ্ছে: মির্জা ফখরুল

স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দিতে হচ্ছে: মির্জা ফখরুল
জাতীয় স্মৃতিসৌধে মির্জা ফখরুল। ছবি: স্টার

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও আমাদের গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দিতে হচ্ছে, লড়াই সংগ্রাম করতে হচ্ছে। আমাদের ভোটের অধিকার হারিয়ে গেছে। কথা বলার অধিকার হারিয়ে গেছে।

আজ রোববার সকালে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, সাংবাদিকদের সত্য কথা লেখার অধিকার হারিয়ে গেছে। এখানে কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সংগ্রাম করছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব হয়েছে। আমরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মধ্যে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম। তখন যে স্বপ্ন ছিল, আশা আকাঙ্ক্ষা ছিল, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের কী দুর্ভাগ্য, দেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণীকে শুধুমাত্র গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের জন্য তাকে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নির্বাসিত করা হয়েছে। ৩৫ লাখের বেশি আমাদের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এই মহান দিনে স্বাধীনতার শুভলগ্নে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে শপথ গ্রহণ করছি, আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে, চাল, ডাল তেলের দাম সহনীয় পর্যায়ে আনার জন্য ও দেশকে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য আমরা যে সংগ্রাম শুরু করেছি, তা চালিয়ে যাবো।

এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, আবদুল মঈন খান, বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নেতা হাবিব-উন-নবী খান সোহেলসহ কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

ASK, BLAST demand action against attacks on women's football matches

In a statement today, ASK said tension persists as football fields were attacked and vandalised over women's matches in Joypurhat and Dinajpur. Ultimately, the matches had to be called off

12m ago