জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের কিছু কিছু বিচার করে যেতে চাই: রিজওয়ানা হাসান

স্বাধীনতা দিবসে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের সীমিত সময়ে জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের কিছু কিছু বিচার করে যাওয়ার কথা বলেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি বলেছেন, 'জুলাই-আগস্টে যে হত্যাকাণ্ড, যে বর্বরতাটা হলো তার সুষ্ঠু বিচার করতে হবে। আমাদের সীমিত সময়ে অবশ্যই চেষ্টা করব, মানুষকে এই বিচারের কিছু কিছু রায় দেওয়ার। যদি মানুষ হিসেবে এটি করতে পারি, তাহলে এই বর্বরতার বিচার হবে—জনগণের মধ্যে সেই আস্থা আসবে।'

আজ ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সময় সাংবাদিকদের এসব বলেন তিনি।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, 'একটি সরকারের জন্য গতানুগতিক যেসব চ্যালেঞ্জ থাকে সেগুলো রয়েছে। এখন একটি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, বিভিন্ন সংস্কারের বিষয়ে ঐক্যমত্য গড়া। সেটি অবশ্যই একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।'

'আরেকটি বিষয় হচ্ছে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করে দেওয়া ও জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করা,' বলেন তিনি।

ঐক্যমত্য কতটা হবে বলে প্রত্যাশা করেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'প্রত্যাশা হলো, জাতীয় স্বার্থে ব্যক্তিগত ও দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে আমরা ঐক্যমত্য করব। কিন্তু, একেকজন মানুষ একেকটা বিষয় একেকভাবে দেখে। দৃষ্টিভঙ্গি একেকভাবে আনে। সেই দৃষ্টিভঙ্গির যে তফাতগুলো আছে, সেগুলো কমিয়ে একটা জায়গায় নিয়ে আসতে হবে। সেটা করতে একটু সময় লাগবে, একটা প্রক্রিয়ার ব্যাপার।'

'সেখানে নিশ্চয়ই তারা সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় স্বার্থকেই প্রাধান্য দেবেন। তারা তো আরও বেশি অভিজ্ঞ, আমাদের অনেকের চেয়ে। তাই আমি মনে করি, জনগণকে যদি আস্থায় আনতে হয়—তাহলে যে সংস্কারগুলোর দাবি জনগণের ক্ষেত্রে ওঠে, সেগুলোর ক্ষেত্রে ঐক্যমত্যে না পৌঁছানোর কোনো উপায় নেই।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh RMG sector

RMG sector on edge as tariff talks make no headway

The diverging outcomes threaten to create a multi-tiered tariff landscape in Asia, placing nations like Bangladesh at a serious disadvantage in the US market.

11h ago