নারায়ণগঞ্জ

প্রেমিকাকে হত্যার দায় স্বীকার করে সেই সেলিমের আদালতে জবানবন্দি

নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার মো. আব্দুস সেলিম (২৩) প্রেমিকা রোজিনা আক্তারকে (৩৩) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। 

রোববার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান মোল্লার আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

এই সেলিমকে গ্রেপ্তারে গিয়েই উপজেলার সাদিপুরের বরগাঁ গ্রামে র‌্যাবের 'বন্দুকযুদ্ধে' ৬৫ বছরের বৃদ্ধ আবুল কাশেম নিহত হন।

গত শুক্রবার সকালে সাদিপুর ইউনিয়নের গজারিয়া পাড়া এলাকা থেকে রোজিনার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় শুক্রবার দিবাগত রাতে বরগাঁ গ্রামে অভিযান চালিয়ে সেলিমকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আহসান উল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, রোববার সকালে সেলিমকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে র‌্যাব। বিকেলে সেলিম হত্যা মামলায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

জবানবন্দিতে দেওয়া তথ্যের বরাতে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, 'রোজিনা আক্তার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের গাউছিয়া এলাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। সেলিমও ওই কারখানায় চাকরি করতেন। তাদের মধ্যে সখ্যতা হয় এবং একে-অপরকে বিয়ে করবে বলেও সম্মতি দেয়। কিন্তু সেলিমের অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়। বিয়ে ভেঙে দিয়ে তাকে বিয়ের জন্য সেলিমকে চাপ দেয় রোজিনা। তখনই রোজিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করে সেলিম।'

পুলিশ পরিদর্শক আহসান উল্লাহ বলেন, 'গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গাউছিয়া এলাকায় ফুটপাত থেকে একটি ধারালো ছুরি কেনেন সেলিম। পরে রোজিনাকে নিয়ে সোনারগাঁয়ের গজারিয়াপাড়া এলাকায় যান তিনি। সেখানে নির্জন স্থানে রোজিনার গলা কেটে হত্যা করে সেলিম।'

শুক্রবার সকালে রোজিনার মরদেহ উদ্ধারের পর সেখান থেকে রক্তমাখা ছুরি পাওয়া যায় বলে জানান আহসান উল্লাহ।

এদিকে, শুক্রবার দিবাগত রাতে সেলিমকে গ্রেপ্তারে ওই গ্রামে অভিযান চালায় র‍্যাব। এ অভিযানে 'বন্দুকযুদ্ধে' বৃদ্ধ আবুল কাশেম (৬৫) নিহত হন। র‍্যাবের বক্তব্য, আসামি সেলিমকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন দুষ্কৃতকারী আসামিকে ছিনিয়ে নিতে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে র‌্যাবের ওপর হামলা করে, গুলি করে। তখন আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়ে আসামিকে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে আসে র‌্যাব।

 

Comments

The Daily Star  | English

Enforced disappearances: Eight secret detention centres discovered

The commission raised concerns about "attempts to destroy evidence" linked to these secret cells

27m ago