রমজানের প্রথম সপ্তাহে চিনির দাম কেজিতে ৫ টাকা কমবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী
টিপু মুনশি | ফাইল ফটো

রমজানের প্রথম সপ্তাহে চিনির দাম কেজিতে ৫ টাকা কমবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

তিনি আরও বলেন, 'দেশে প্রচুর পরিমাণে সয়াবিন তেল আছে। পাইপ লাইনে আছে। আমরা যে দাম নির্ধারণ করেছি, অনেক হিসাব করে দেখেছি, দাম কমানোর সুযোগ আমরা পাচ্ছি না। তবে বাড়ার কোনো কারণ নেই।'

আজ রোববার দুপুরে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, 'রমজানকে সামনে রেখে কোনো ভয় নেই। আমরা ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের কাছে যে চিনি, তেল আছে, দাম যেটা নির্ধারণ করা আছে কোনো অবস্থাতেই তার চেয়ে বাড়ার কোনো কারণ নেই। ছোলার দাম, যা খরচ তার চেয়েও কম দামে পাওয়া যাবে।'

'পেঁয়াজ যথেষ্ট পরিমাণে আছে এবং ভারত থেকে আমদানি আমরা একটু স্লো করে দিয়েছি। যাতে করে আমাদের কৃষক ও ভোক্তারা ন্যায্য মূল্যে পায়। আমরা নিবিড়ভাবে বাজার পর্যবেক্ষণ করব, যদি দেখি যে, দাম বাড়া শুরু করেছে, আমরা সঙ্গে সঙ্গে আমদানি খুলে দেবো,' বলেন তিনি।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, 'রমজানে বেগুন, টমেটো, শসা, মুরগির চাহিদা বাড়ে। আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলেছি, পথে যাতে কোথাও চাঁদাবাজির কবলে না পড়ে এসব শাক-সবজি নিয়ে যেসব গাড়ি আসবে। আমরা অত্যন্ত শক্তভাবে এটা পর্যবেক্ষণ করব। খাদ্য সামগ্রী নিয়ে আসা ট্রাক হাইওয়েতে কোথাও কেউ থামাতে পারবে না।'

'চিনির ব্যাপারে কিছুটা ভ্যাট ট্যাক্সের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এটা প্রভাব সাড়ে ৪ টাকার মতো। তারপরও আমরা মালিকপক্ষকে অনুরোধ করেছি এটা ৫ টাকা করতে। তারা সম্মত হয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, এই সুবিধার আওতায় পণ্য এখনো পুরোপুরি বাজারে আসেনি। তারা কয়েকটা দিন সময় চেয়েছে। রমজানের প্রথম সপ্তাহে নতুন দাম চলে আসবে,' বলেন তিনি।

মালিকপক্ষ শহরভিত্তিক ক্রেতাদের জন্য নতুন সাশ্রয়ী দামে ট্রাকে চিনি বিক্রি করবে বলেও জানান তিনি। টিপু মুনশি বলেন, 'মিল গেটের দামে ট্রাকে চিনি পাওয়া যাবে। হয়তো ট্রাকে মুভমেন্ট করার জন্য সামান্য প্রভাব পড়তে পারে।'

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

10h ago