আফগান পুরুষ দর্জিরা নারীদের শরীরের মাপ নিতে পারবেন না

আফগানিস্তানের একটি দর্জি দোকান। ফাইল ছবি: এএফপি
আফগানিস্তানের একটি দর্জি দোকান। ফাইল ছবি: এএফপি

পশ্চিমের সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের পর প্রায় বিনা রক্তপাতে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালেবান। এরপর থেকেই দেশটিতে নারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধ আরোপিত হচ্ছে। সর্বশেষ এক বিচিত্র বিধিনিষেধের আওতায় পড়লেন দেশটির পুরুষ দর্জিরা।

আজ বুধবার আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজ পারওয়ান প্রদেশের রাজধানী চারিকারের পুরুষ দর্জিদের বরাত দিয়ে জানায়, তারা দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সদাচার প্রসার মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে নারী পোশাক তৈরি না করার মৌখিক নির্দেশনা পেয়েছেন।

দর্জিরা জানান, অর্থনৈতিক সংকটের পাশাপাশি এ সিদ্ধান্তে তাদের ব্যবসা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

তবে পারওয়ান প্রদেশের স্থানীয় কর্মকর্তারা এসব দাবি অস্বীকার করেছেন এবং জানিয়েছেন, দর্জিদের শুধু কিছু সুপারিশ দেওয়া হয়েছে।

পারওয়ানের গভর্নরের মুখপাত্র হিকমাতুল্লাহ শামিম বলেন, 'তাদের পোশাক তৈরির কাজের ওপর কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি। দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সদাচার প্রসার মন্ত্রণালয় শুধু দর্জিদের কাছে আসা নারীদের শরীরের মাপ নেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে'।

আফগানিস্তানের একটি দর্জি দোকান। ফাইল ছবি: এএফপি
আফগানিস্তানের একটি দর্জি দোকান। ফাইল ছবি: এএফপি

মুখতার সেকান্দারি নামের এক দর্জি টোলোনিউজকে বলেন, 'দোকানের ভাড়া হচ্ছে ১০ হাজার আফগানি (আফগানিস্তানের মুদ্রা)। এছাড়াও অন্যান্য খরচও আছে। আমরা নারীদের পোশাক সেলাই করেই বেশিরভাগ ব্যয় নির্বাহ করছিলাম'। 

পারওয়ানের দর্জি সমিতির প্রতিনিধিদের মতে, এই বিধিনিষেধ আরোপের ফলে প্রদেশের বেশিরভাগ দর্জি কাজ হারিয়েছেন এবং তাদের কেউ কেউ দেশ ছেড়ে চলে গেছেন।

চারিকার হস্তশিল্পী ও দোকানমালিক সমিতির প্রতিনিধি ইমামউদ্দিন বলেন, 'যেসব দর্জি মেয়েদের পোশাক সেলাই করতেন, তারা সবাই জীবিকা হারিয়েছেন এবং কেউ কেউ এমন কী ইরানেও চলে গেছেন'।

পারওয়ানের দর্জিদের প্রতিনিধি মোহাম্মদ সাবের কুদুস বলেন, 'আমাদের দোকানগুলো বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। আমাদের জন্য কোন ব্যবসার সুযোগ নেই'।

এমন এক সময় এ ধরনের নির্দেশনা এলো, যখন ইতোমধ্যে দেশের তরুণদের অনেকেই গত ২ বছরে বেকারত্ব ও দারিদ্র্যের হাত থেকে মুক্তি পেতে অবৈধভাবে দেশের বাইরে চলে গেছেন। 

 

Comments

The Daily Star  | English

Smaller in size, larger in intent

Finance Adviser Salehuddin Ahmed has offered both empathy and arithmetic in his budget speech, laying out a vision that puts people, not just projects, at the heart of economic policy.

9h ago