আয় বহির্ভূত ১ কোটি টাকার সম্পদ: খুলনায় পুলিশ কর্মকর্তার বাড়ি ‘ক্রোক’

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে পুলিশের এক পরিদর্শকের জমিসহ বাড়ি ক্রোক করেছে দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন)। 
ক্রোক
সোনাডাঙ্গায় পরিদর্শক শেখ আবু বকর সিদ্দিকীর ৫ তলা বাড়ির সামনে ক্রোক করার নোটিশ টাঙায় দুদক। ছবি: সংগৃহীত

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে পুলিশের এক পরিদর্শকের জমিসহ বাড়ি ক্রোক করেছে দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন)। 

আজ মঙ্গলবার খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকায় পরিদর্শক শেখ আবু বকর সিদ্দিকীর ৫ তলা বাড়ির সামনে ক্রোক করার নোটিশ টাঙিয়ে দেয় দুদক।

দুদক খুলনার উপপরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দুদকের মামলা সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ পরিদর্শক শেখ আবু বকর সিদ্দিকী খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গাসহ বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এবং গোয়েন্দা শাখায় দায়িত্ব পালন করেছেন। এ সময়ে তিনি দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থোপার্জন করেছেন। সেই অর্থ দিয়ে তিনি খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকায় পাঁচ কাঠা জমিতে ৫ তলা ভবন তৈরি করেছেন। বর্তমানে তিনি অবসর-পূর্বকালীন (এলপিআর) ছুটিতে রয়েছেন।

এ অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে ২০২১ সালের ৯ নভেম্বর দুদক খুলনার উপসহকারী পরিচালক মো. আল আমিন বাদী হয়ে দুর্নীতি মামলা করেন। মামলায় তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ১ কোটি ১ লক্ষ ২৯ হাজার ৯৫৯ টাকা।

মামলার আলামত ও তথ্য-উপাত্ত আদালতে উপস্থাপন করা হলে খুলনা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ ২০২২ সালের ২৬ মে তারিখে ভবনটি ক্রোক করার আদেশ দেন।

জানতে চাইলে দুদক উপপরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ওই সম্পত্তি ক্রোক করে বাড়ির সামনে নির্দেশনা সংবলিত সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছি। ভবনের বিষয়ে আদালত পরবর্তীতে নির্দেশনা দেবেন।'

বাড়ি ক্রোকের বিষয়ে মন্তব্য জানতে অভিযুক্ত পুলিশ পরিদর্শক শেখ আবু বকর সিদ্দিকীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। 

যোগাযোগ করা হলে সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমতাজুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দুদক আমাদের আদালতের আদেশের বিষয়ে জানিয়েছে। তারা আমাদের সহায়তাও চেয়েছে। আমরা সহায়তা করেছি। বাড়ি ক্রোকের নোটিশ টাঙানোর সময় পুলিশের একটি টিম সেখানে উপস্থিত ছিল।'

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

8h ago