সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ

বিশেষজ্ঞদের মতামত চায় তদন্ত কমিটি

ছবি: রাজীব রায়হান

সীতাকুণ্ডের কদম রসুল এলাকায় সামা অক্সিজেন প্ল্যান্ট লিমিটেডের বিস্ফোরণকে দেশের প্রথম অক্সিজেন প্ল্যান্ট বিস্ফোরণ হিসেবে অভিহিত করেছে তদন্ত কমিটি। এ ছাড়া বিস্ফোরণের পিছনে আরও সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে বের করতে বিশেষজ্ঞদের মতামত চেয়েছে কমিটি।

তদন্ত শেষ করতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে আরও ২ কর্মদিবস সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে কমিটি। 

সীতাকুণ্ড প্লান্ট বিস্ফোরণে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৯ মার্চ সময় নির্ধারিত ছিল।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) রাকিব হাসানের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি একাধিকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে তাদের বক্তব্য রেকর্ড করেন।

দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে তদন্ত কমিটির এডিএম রাকিব বলেন, 'সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ দেশের প্রথম অক্সিজেন প্লান্ট বিস্ফোরণ। তা ছাড়া আমরা গবেষণা করে দেখেছি, সারা বিশ্বে অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য নয় যা আমাদের তদন্তের ধরণকে বদলে দিয়েছে। এখন আমরা সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছতে চাই, কেন সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ ঘটল।'

তিনি বলেন, 'আমরা বিশেষজ্ঞদের মতামতের জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক এবং একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারসহ ২ জনকে যুক্ত করেছি এবং তদন্তের জন্য আরও ২ কার্মদিবস সময় চেয়েছি।'

এদিকে, সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের মালিক ও শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ১৬ জনকে আসামি করে একজন ভিকটিমের স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। গত ৬ মার্চ সীতাকুণ্ড থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ইচ্ছাকৃত অবহেলার কারণে ৪ মার্চ এ ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনার পর তদন্তকারীরা জানান, শ্রমিকদের নিরাপত্তা সরঞ্জামের অভাব এবং ভারী যন্ত্রপাতি পরীক্ষানিরীক্ষার অভাবে এই মর্মান্তিক বিস্ফোরণ ঘটেছে।

যন্ত্রপাতি ও ফিটনেস পরীক্ষার জন্য সেখানে কোনো সার্টিফায়েড প্রকৌশলী ছিল না। তবে চট্টগ্রামের বিস্ফোরক পরিদর্শক মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, এই কাজটি দক্ষ শ্রমিকদের মাধ্যমে পরিচালিত হতো। যাদের যন্ত্রপাতি পরিচালনার দক্ষতা ছিল।

অক্সিজেন লাইনের 'কলাম'-এর একটি ভালভে ভারী গ্যাসের চাপ ছিল, যা একজন কর্মী লক্ষ্য করেছিলেন। কিন্তু চাপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছাড়বে কি না তা তারা জানতেন না।

 

Comments

The Daily Star  | English

Bangladeshis worry amid US immigration crackdown

The United States has deported at least 31 Bangladeshis after President Donald Trump took a tough immigration policy.

3h ago