‘দলের সবাই এখন ফিল্ডিং নিয়ে ফোকাসড’ 

Najmul Hossain Shanto
মাচে তিন ক্যাচ নেন শান্ত। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

'সাকিবকে এমন ক্যাচ ছাড়তে শেষ কবে দেখেছেন?' সংবাদ সম্মেলন শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় নাজমুল হোসেন শান্তর দিকে গেল এই প্রশ্ন। হাসতে হাসতে শান্ত জানালেন, 'ভাই, আমিও এই ক্যাচ ছাড়তে পারতাম।' অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ছেড়ে দেওয়া  জস বাটলারের ক্যাচটা যেন চাঁদের কলঙ্ক। এর বাইরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ফিল্ডিং ছিল চোখ ধাঁধানো। নাজমুল হোসেন শান্ত মনে করেন, ফিল্ডিং দল হিসেবে তারা এখন বেশ ঝাঁজালো। 

এদিন আগে ফিল্ডিং বেছে তারুণ্য নির্ভর বাংলাদেশকে পাওয়া যায় বেশ ফুরফুরে। শান্ত, তৌহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন পাটোয়ারি, আফিফ হোসেনরা কেড়েছেন নজর। ক্ষীপ্র গতিতে ছুটে গিয়ে রান বাঁচাতে দেখা গেছে তাদের সবাইকে। 

৬ষ্ঠ ওভারে অবশ্য দেখা যায় অন্যরকম দৃশ্য। ১৯ রানে থাকা বাটলার নাসুম আহমেদের বলে মিড অনে তুলে দিয়েছিলেন সহজ ক্যাচ। লোপ্পা সে ক্যাচ ফেলে দেন সাকিব। পরের বলে দেরিতে মুভ করায় একটি চার বাঁচাতে পারেননি তিনি। 

সাকিবের এই দুই দৃশ্য বাদ দিলে অন্যরকম হয় বাংলাদেশের ফিল্ডিং। নিরাপদ হাতে শান্ত নিয়েছেন তিন ক্যাচ। একাধিক চার বাঁচিয়েছেন। তার হাতে বল রেখে বাড়তি রান নিতে পারেননি ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। 

দলের ফিল্ডিং নিয়ে শান্ত পরে শোনালেন ইতিবাচক কথা,  'আমি না, আমাদের দলের সবাই ফিল্ডিং নিয়ে ফোকাসড। আপনি যদি দেখেন প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ই যার যেখানে থাকা দরকার, দৌড়ে, দৌড়ে চেঞ্জ করে করে গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে যায়। এমনকি তাসকিন, মোস্তাফিজ, হাসান এরাও অনেক উন্নতি করেছে। এরাও অনুশীলনে অনেক এফোর্ট দেয়। প্রতিদিন বাড়তি ফিল্ডিং অনুশীলন করে।' 

'আমরা চেষ্টা করছি স্কোয়াডে যারা থাকি সবাই মিলে ভালো ফিল্ডিং দল হতে পারি। এখনো অনেক উন্নতির জায়গা আছে। '

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka airport receives 2nd bomb threat

Operations at HSIA continue amid heightened security

57m ago