৫০০ উইকেট নিতে চান হাসান

hasan mahmud
হাসান মাহমুদ। ছবি: ফিরোজ আহমেদ/স্টার

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের কেবল তৃতীয় বছর পার করছেন হাসান মাহমুদ। এখনো পায়ের নিচে ভিত শক্ত করার চ্যালেঞ্জ আছে সামনে। তবে স্বপ্নের জায়গাটা বড় করতে দ্বিধা কীসের? ২৩ পেরুনো তরুণ ক্যারিয়ার শেষে নিজের নামের পাশে দেখতে চান ৫০০ উইকেট।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে খেলা না হলেও টি-টোয়েন্টিতে নেমে আলো ছড়ান হাসান। চট্টগ্রামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের জেতার রাস্তা প্রথমে করে দেন তিনিই। আগে ব্যাটিং পেয়ে উড়তে থাকা ইংল্যান্ডের ডানা ছেঁটে ফেলেন ডেথ ওভারে। প্রথম দুই ওভারে দিয়েছিলেন ২১ রান। পরের ২ ওভারে স্রেফ ৫ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।

১৭তম ওভারে মাত্র ১ রান দিয়ে আউট করেন জস বাটলারকে। ১৯তম ওভারে ৪ রান খরচায় ধরেন স্যাম কারানের উইকেট। তার তোপে শেষ ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান নিতে পারে ইংল্যান্ড। ১৫৭ রানের লক্ষ্য পেয়ে পরে ৬ উইকেটে অনায়াসে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির আগে শনিবার অনুশীলন সেরে গণমাধ্যমের সামনে হাজির হন হাসান। মাত্রই শুরু ক্যারিয়ার, সেটা যখন থামবে নামের পাশে কত উইকেট চাই? রাখঢাক না করে অকপটে জানালেন, '৫০০ উইকেট অবশ্যই।'

১৩তম ওভারে হাসানকে টানা দুটি ছয়ে উড়ান বাটলার। ২ ওভারে ২১ রান দিয়ে ছিলেন খরুচে। পরের স্পেলে ফিরে সেই বাটলারকেই কাবু করে ফেরান বাংলাদেশকে। জানালেন, ছয় মারার বলগুলো ভুলে গিয়ে নিজের পরিকল্পনায় অটুট ছিলেন তিনি,  'ওই সময় ও যে আমাকে ছক্কা মারছে দুইটা পরপর, আমি ছয়ের দিকে তাকাই না, আমি দেখিই নাই ও কী করছিল। আমি ভাবছিলাম আমি কী করবো। শেষ দুই ওভারে আমার চ্যালেঞ্জ ছিল যেকোনোভাবে আটকাতে হবে। আমি সেটা করার চেষ্টা করেছি।'

'আমার চিন্তা থাকে বল বাই বল। একটা বল খারাপ হলেও পরের বলের ফোকাসটা রাখি, আমার শক্তির জায়গায় থাকি। ওই সময়টায় নিজের ক্যারেক্টারটা দেখাতে পছন্দ করে। চ্যালেঞ্জটা নিতে ভালো লাগে। '

১১ টি-টোয়েন্টির ছোট্ট ক্যারিয়ারে ১৫ উইকেট নিয়েছেন হাসান। ৬ ওয়ানডেতে তার শিকার ৮ উইকেট। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে শুরুতে দারুণ বল করেছিলেন। আউট করেছিলেন রোহিত শর্মাকে। ৩ উইকেট নেওয়ার পথে হার্দিক পান্ডিয়া ও আকসার প্যাটেলের উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। পরের দিকে যদিও দিয়ে দেন কিছুটা বাড়তি রান। তবে ভারতের বিপক্ষে ওই ম্যাচটাতেই নাকি তার ভয় কেটে গেছে,  'ভারতের সঙ্গে বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ ছিল। ওই ম্যাচের পর আমার ভয়টা কেটে গিয়েছে। এখানে আরেকটু সহজ হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Beximco workers' protest turns violent in Gazipur

Demonstrators set fire to Grameen Fabrics factory, vehicles, vandalise property

1h ago