উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ

মেসি-এমবাপেদের বিদায় ঘণ্টা বাজাল বায়ার্ন

ছবি: এএফপি

আগেই পিছিয়ে থাকায় ঘুরে দাঁড়িয়ে দারুণ কিছু করার চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপের কেউই নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারলেন না। ফলে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে আবার হেরে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিল পিএসজি।

বুধবার রাতে ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে ২-০ গোলে জিতেছে জার্মান বুন্দেসলিগার শিরোপাধারীরা। প্যারিসিয়ানদের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে প্রথম লেগে তারা জিতেছিল ১-০ গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-০ ব্যবধানের অগ্রগামিতায় আসরের কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট মিলল তাদের।

ছবি: এএফপি

আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের পসরা দেখা গেলেও প্রথমার্ধে আসেনি কোনো গোল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে বাভারিয়ানদের এগিয়ে দেন এরিক ম্যাক্সিম চুপো-মোটিং। এরপর শেষদিকে ব্যবধান বাড়ান বদলি হিসেবে নামা সার্জ গ্যানাব্রি।

লম্বা সময়ের জন্য চোটে পড়া ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারের অনুপস্থিতিতে মেসি ও এমবাপের কাঁধে ছিল বাড়তি দায়িত্ব। কিন্তু নিজেদের দক্ষতা ও সামর্থ্যের প্রতি সুবিচার করতে ব্যর্থ হন তারা। ফলে আরও একবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বপ্ন ভেস্তে গেছে পিএসজির। টানা দ্বিতীয়বারের মতো তারা ছিটকে গেছে আসরের শেষ ষোলো থেকে।

ছবি: এএফপি

ম্যাচে বল দখলের লড়াইয়ে কিছুটা পিছিয়ে ছিল স্বাগতিকরা। ৪৫ শতাংশ সময়ে তাদের পায়ে ছিল বল। তবে গোলমুখে শট নেওয়ায় তারাই ছিল এগিয়ে। তাদের ১২টি শটের পাঁচটি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে, ফরাসি লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নরা ১০টি শট নিয়ে চারটি লক্ষ্যে রাখে।

বিরতির আগে গোলের সবচেয়ে ভালো সুযোগটা এসেছিল পিএসজির সামনে। ৩৮তম মিনিটে তাদের দুই ফুটবলারের চাপে ডি-বক্সে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছিলেন বায়ার্নের গোলরক্ষক ইয়ান সোমার। কিন্তু বল পেয়ে গেলেও ফাঁকা জালের উদ্দেশ্যে দুর্বল শট নেন ভিতিনহা। দারুণ স্লাইডে প্রায় গোললাইন থেকে তা ফিরিয়ে দেন মাটাইস ডি লিখট।

বিরতির পর তেতে ওঠে প্রথমার্ধে দ্বিতীয় সেরা দল হয়ে থাকা বায়ার্ন। ৫২তম মিনিটে চুপো মোটিং বল জালে পাঠালেও তা বাতিল হয় অফসাইডের কারণে।

ছবি: এএফপি

হতাশা ঝেড়ে ফেলতে অবশ্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ক্যামেরুনের এই স্ট্রাইকারকে। নয় মিনিট পর মার্কো ভেরাত্তি চাপের মুখে বল হারালে পেয়ে যান লিয়ন গোরেটস্কা। তার পাস পেয়ে অনায়াসে লক্ষ্যভেদ করেন এক সময় পিএসজির হয়ে খেলা চুপো মোটিং।

এরপর দুই দলই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ভীতি ছড়াতে থাকে। কিন্তু বায়ার্ন পারছিল না ব্যবধান বাড়াতে, পিএসজিও ব্যর্থ হচ্ছিল সমতায় ফিরতে। অবশেষে ৮৯তম মিনিটে সফরকারীদের সব আশা শেষ করে দেন গ্যানাব্রি। আরেক বদলি জোয়াও ক্যান্সেলোর কাছ থেকে বল পেয়ে পিএসজির গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুমার মাথার উপর দিয়ে নিশানা ভেদ করেন এই জার্মান ফরোয়ার্ড।

দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে আরও একবার বায়ার্ন গোলের উল্লাস করতে পারত। কিন্তু সাদিও মানে অল্পের জন্য অফসাইডের ফাঁদে পড়ায় তা হয়নি।

Comments

The Daily Star  | English

Beximco workers' protest turns violent in Gazipur

Demonstrators set fire to Grameen Fabrics factory, vehicles; properties vandalised

3h ago