গুলিস্তানে বিস্ফোরণ

উদ্ধার অভিযান: রাজউকের অপেক্ষায় ফায়ার সার্ভিস, উৎকণ্ঠিত স্বজনরা

দুর্ঘটনা কবলিত ভবনটিতে কাজ করতেন মেহেদী হাসান স্বপন। এখন পর্যন্ত তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। তার ভাই সোহাগ ও মামা শ্বশুর আবদুল মান্নান ঘটনাস্থলে কান্নাকাটি করছিলেন।আজ সকালে ছবিটি তুলেছেন দ্য ডেইলি স্টারের আলোকচিত্রী পলাশ খান।

ঢাকার গুলিস্তানে সিদ্দিকবাজারে বিআরটিসি বাস কাউন্টারের পাশে একটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় আজ সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্তও উদ্ধার কাজ শুরু করা যায়নি।

ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় গতকাল রাতে উদ্ধার কাজ বন্ধ রাখা হয়। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) একটি দল ভবনটি পরিদর্শন করার পর তাদের পরামর্শ নিয়ে এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করার পর পুনরায় উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

তবে, আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্তও রাজউকের দলটি ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়নি বলে ঘটনাস্থল থেকে জানিয়েছেন দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদক।

ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, র‌্যাবসহ উদ্ধারকারীরা রাজউকের পরিদর্শন দলটি আসার অপেক্ষায় রয়েছেন। সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারী দলও সেখানে যাচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিস বিস্ফোরণ হওয়া ভবনটিতে উদ্ধার কাজ শুরু করতে না পারলেও, এর আশেপাশের ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ও অংশগুলোতে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

গতকাল রাত থেকেই স্বজনদের খুঁজে না পাওয়া স্বজনরা ভবনটির আশেপাশে উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষায় রয়েছেন।

পুরাণ ঢাকার বাসিন্দা মো. আরিফ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার বন্ধু মোমিন উদ্দিন সুমন এই ভবনের নীচতলায় একটি অফিসে কাজ করতো। গতকাল এই ভবনে বিস্ফোরণ হওয়ার খবর শুনেই ওকে কল করতে থাকি। মোবাইলে কল ঢুকেছে কিন্তু রিসিভ করেনি।'

গতকাল রাত ৯টা পর্যন্ত মোবাইলে কল বেজেছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, '৯টার পর আর কল ঢুকেনি। উদ্ধারকারীরা ওর মোবাইলটা পেয়েছে, কিন্তু আমার বন্ধুকে এখনো পাওয়া যায়নি।'

গুলিস্তানে ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ জনে, আহত হয়েছেন অন্তত ১০০ জন।

Comments

The Daily Star  | English

Enforced disappearances: Eight secret detention centres discovered

The commission raised concerns about "attempts to destroy evidence" linked to these secret cells

3h ago