ত্বকী হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার প্রত্যয়

আজ সোমবার সকালে বন্দর উপজেলার মোল্লাবাড়ি এলাকায় সিরাজ শাহের আস্তানায় ত্বকীর কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় এ প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।
কবরে মাথা রেখে যেন ত্বকীকে আদর করছেন বাবা রফিউর রাব্বি। ছবি: সৌরভ হোসেন সিয়াম/স্টার

নারায়ণগঞ্জের মেধাবী কিশোর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত এই দাবি নিয়ে রাজপথে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

আজ সোমবার সকালে বন্দর উপজেলার মোল্লাবাড়ি এলাকায় সিরাজ শাহের আস্তানায় ত্বকীর কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা।

নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ভবানী শংকর রায় বলেন, 'এই হত্যাকাণ্ডের এক দশক পেরিয়ে গেলেও আসামিদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যায়নি। কিন্তু আমরা এই হত্যার বিচারের দাবি জারি রাখব। কারণ আমরা সেদিন ত্বকীর লাশ ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরব না।'

তিনি আরও বলেন, 'খুনিরা যতই প্রভাবশালী হোক না কেন এই হত্যার বিচার একদিন না একদিন হতেই হবে। বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবো।'

এদিন সকালে ত্বকীর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় ত্বকীর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও দোয়া করা হয়।

এই সময় উপস্থিত ছিলেন নিহত ত্বকীর পিতা ও সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি, সদস্যসচিব হালিম আজাদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান মাসুম, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর পক্ষে তার ছোটভাই ও মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী রেজা, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ভবানী শংকর রায়, সাধারণ সম্পাদক শাহীন মাহমুদ, সমমনার সভাপতি দুলাল সাহা, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর জেলা সভাপতি ধীমান সাহা জুয়েল, বাসদ নেতা আবু নাঈম বিপ্লব প্রমুখ।

ত্বকী খুন হওয়ার এক দশক পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত এই হত্যা মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দিতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাব। ফলে শুরু করা যায়নি বিচারকাজ।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, ত্বকী হত্যার ঘটনায় প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের লোকজনের নাম আসায় বিচারকাজ বন্ধ আছে।

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

11h ago