ওরা ৪০০ রান করলেও আমরা চেষ্টা করতাম: তামিম

Tamim Iqbal & Shakib Al Hasan
তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান জুটি গড়লেও দলের জেতার পথ তৈরি হয়নি। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

প্রতিপক্ষের ৩২৬ রানের জবাবে বাংলাদেশ করতে পারল না দুইশো রানও। নয় নম্বরে নামা তাসকিন আহমেদ ছাড়া কারো স্ট্রাইকরেটই স্পর্শ করেনি ১০০। অথচ অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলছেন, তারা খেলেছেন জেতার জন্য। এমনকি প্রতিপক্ষ ৪০০ রান করলেও মরিয়া হয়ে জেতার রাস্তা খুঁজতেন।

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার ছুটির দিনটাতে দর্শকরা দেখেছেন স্বাগতিক দলের বিবর্ণ বোলিং, ফিল্ডিং। তবে চরম হতাশা বেড়েছে নেতিবাচক অ্যাপ্রোচের ব্যাটিংয়ে।

ইংল্যান্ডের ৩২৬ রানের জবাবে ৪৪.৪ ওভার বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ১৯৪ রানে। কোন একটা পর্যায়েও রানরেট ছাড়িয়ে যায়নি পাঁচের ঘর। ম্যাচ শেষ হওয়ার অন্তত ২০ ওভার আগে থেকেই খেলার ধরণে আশা না দেখে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান প্রচুর সমর্থক। 

রান তাড়ায় নেমে প্রথম ওভারেই পর পর দুই বলে লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্তকে হারায় বাংলাদেশ। তৃতীয় ওভারে দলের তিন রানে ফিরে যান মুশফিকুর রহিমও।

৯ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর স্বাভাবিক কারণেই ওই সময় প্রতিরোধের চেষ্টায় কিছুটা বাড়তি সময় দরকার ছিল। সাকিব আল হাসানের সঙ্গে জুটিতে শুরু কয়েক ওভারে সেই সময় নেওয়ায় আপত্তির জায়গা নেই।

কিন্তু একটা পর্যায়ে গিয়ে তাদের দুজনকেই বেরুতে হতো খোলস ছেড়ে। সেই কাজটার বদলে মাঝের ওভারে উল্টো খোলস বন্দি হয়ে যান তামিম।

একটা পর্যায়ে তামিমের রান ছিল ৩৩ বলে ২৪। পরের ৩২ বলে তিনি নিতে পারেন স্রেফ ১১ রান। আউট হন ৬৫ বলে ৩৫ রান করে। এই সময় তাকে বল ছেড়ে দিতে দেখা যায়, ডিফেন্স করতে দেখা যায়। মেরে খেলার তেমন কোন তাড়না ছিল না। তবে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক শুনালেন ভিন্ন কথা,  'দেখেন আজ থেকে যদি ১০-১২ কিংবা ১৫ বছর আগে আমরা এই পরিস্থিতিতে থাকতাম। তাহলে হতো কি আমরা একটা সম্মানজনক সংগ্রহের কথা চিন্তা করতাম, যখন এরকম তিন-চারটা উইকেট পড়ে গেছে। আমি আর সাকিব যখন ব্যাট করছিলাম তখন জেতার জন্যই চিন্তা করছিলাম। আপনাকে মাঝে মাঝে পুনর্গঠনের কথা ভাবতে হবে, যখন তিনটা উইকেট পড়ে যাবে আপনার একটু সময় নিতে হবে।'

'এই কারণেই আমার ওই শটটা খেলা, বা ওর ওই শট খেলা। আমরা যাতে আগাতে পারি। তিন উইকেট পড়ার পর যদি হার মেনে যেতাম তাহলে খেলাটা হতো অন্যরকম। যে আস্তে আস্তে খেলতাম। কিন্তু আমার মনে হয় না আমরা ওই ধাপে আছি। ওরা যদি ৪০০ রানও করত আমরা চেষ্টা করতাম। পারি না পারি। সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু চেষ্টা করতাম। আমার মনে হয় আমি আর সাকিব যতক্ষণ ব্যাট করেছি আমরা চেষ্টা করেছি। তবে ৩০, ৩৫ বা ৫০ এটা পর্যাপ্ত না।'

তামিমের আউটের আগে থেকে অবশ্য চেষ্টাটা শুরু করেন সাকিব। ৫৯ বলে স্পর্শ করেন ফিফটি। আউট হন ৬৯ বলে ৫৮ রান করে।

জেতার জন্য ওভার প্রতি যখন ৮.২০ করে দরকার তখন ক্রিজে এসেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। এমন পরিস্থিতিতে বিস্ময়করভাবে তিনি খেলেন মন্থরতম ইনিংস।

ধুঁকতে ধুঁকতে তিনি শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন ৪৯ বলে ৩২ রান করে। মাহমুদউল্লাহর খেলার ধরণ প্রশ্ন করা হলে কিছুটা রেগে যান তামিম। দেশের একজন খেলোয়াড়ের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন করা উচিত কিনা এমন পাল্টা প্রশ্নও করতে দেখা যায় তাকে।

Comments

The Daily Star  | English

From gravel beds to tourists’ treasure

A couple of decades ago, Panchagarh, the northernmost district of Bangladesh, was primarily known for its abundance of gravel beds. With thousands of acres of land devoted to digging for the resource, the backbone of the region’s rural economy was based on those natural resources.

14h ago