হারানোর কিছু ছিল না বলেই জিতেছে বাংলাদেশ!

টি-টোয়েন্টি তো বটেই, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোনো সংস্করণেই সিরিজ জয়ের রেকর্ড ছিল না বাংলাদেশের।
Mehedi hasan Miraz
ছবি: ফিরোজ আহমদ

প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন। র‍্যাঙ্কিংয়ে তলানিতে থাকা বাংলাদেশের বিপক্ষে স্বাভাবিকভাবেই পরিষ্কার ফেভারিট তারা। হোক না সিরিজটি বাংলাদেশের মাঠে। তার উপর তাদের বিপক্ষে কোনো সংস্করণেই সিরিজ জয়ের রেকর্ড নেই টাইগারদের। কিন্তু মাঠে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। টানা দুই জয়ে উল্টো এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিল বাংলাদেশই। হারানোর কিছু ছিল না বলেই জয় পেয়েছেন বলে মনে করেন জয়ের নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।

রোববার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১১৭ রানে গুটিয়ে যায় ইংলিশরা। জবাবে ৭ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে টাইগাররা। এর আগে চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ।

ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের সাফল্যের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মিরাজ বলেন, 'আমাদের যারা তরুণ খেলোয়াড় আছে, আমরা বড় দলের সঙ্গে খেললে মানসিকভাবে আরো শক্ত হতে পারি। তাদের সাথে কীভাবে লড়াই করব সেটার একটা প্রবণতা আমাদের সবার মধ্যে কাজ করে। বড় দলের সাথে খেললে হারানোর কিছু থাকে না, পাওয়ার অনেক কিছু থাকে। আমরা সিরিজ জিতেছি। আমাদের হারানোর কিছু ছিল না। কিন্তু আমরা সবাই যেভাবে খেলেছি, সাহস নিয়ে খেলেছি এটাই একটা দলকে অনেক মোটিভেট করে।'

অথচ টি-টোয়েন্টিতে এই সিরিজের আগে বাংলাদেশের অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। আরব-আমিরাতে মূল পর্বে জয়হীন ছিল তারা। প্রথম পর্বে হারতে হয়েছিল দুর্বল স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। অস্ট্রেলিয়ায় অবশ্য দুটি জয় মিলে। তবে সে দুটি জয় ছিল নেদারল্যান্ডস ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।

তবে এবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দলে বেশ রদবদল করা হয়েছে। জায়গা হয়েছে অনেক তরুণের। আর সে তরুণরাই পার্থক্য গড়ার পেছনে দারুণ ভূমিকা রেখেছেন বলে মনে করেন মিরাজ, 'এখন যে খেলোয়াড়রা আছে, তারা সবাই ইতিবাচকভাবে খেলছে। টি-টোয়েন্টি খেলাটা কিন্তু চিন্তা করার কিছু নেই, আমি কীভাবে খেলব, ধরে খেলব নাকি- এরকম না। এখানে প্রতিটা বলেই ঝুঁকি ও সাহস নিয়ে খেলতে হয়।'

'আমাদের খেলোয়াড়রা সবাই মানসিকতা পরিবর্তন করেছে যে আমরা কীভাবে গ্লেমপ্ল্যান করব, কীভাবে খেলব। এভাবেই হচ্ছে। আর কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটার এসেছেন। তারাও ভালো ক্রিকেট খেলছেন। বিশেষ করে তৌহিদ হৃদয়, ওকে দেখে মনে হয় না যে ওর অভিষেক হয়েছে। আর শান্তকে দেখেন, ওকে নিয়ে সবাই অনেক বাজে মন্তব্য করেছে। ও কিন্তু এখন ভালো ক্রিকেট খেলছে। নিজেকে মানসিকভাবে শক্ত করেছে। ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলছে অনেক দিন ধরেই। এই ছোট ছোট পরিবর্তনগুলোই দলের জন্য অনেক বড় সহায়তা করছে,' যোগ করেন মিরাজ।

সিরিজ জয়ের পর এবার ইংলিশদের হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ টাইগারদের। তবে সে ম্যাচ জয়ের চেয়ে নিজেদের প্রসেস অনুযায়ী খেলার পরিকল্পনাই লক্ষ্য বলে জানান মিরাজ, 'আমরা অবশ্যই জেতার জন্য নামি। কিন্তু জেতার আগে কিছু প্রসেস আছে, সেটা অনুসরণ করতে হয় আমাদের। আমরা যদি প্রসেস থেকে বেরিয়ে যাই তাহলে কখনও জিততে পারবো না। আমরা যেভাবে চলছি, রুটিন আছে; আমরা ওইভাবেই চেষ্টা করবো। তারপর খেলাশেষে রেজাল্ট নিয়ে চিন্তা করবো।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi-Americans eager to help build new Bangladesh

July uprising and some thoughts of Bangladeshi-Americans

NRBs gathered in New Jersey showed eagerness to assist in the journey of the new Bangladesh forward.

3h ago