খুলনায় বুধবার সকাল থেকে চিকিৎসকদের ২৪ ঘণ্টা কর্মবিরতি

খুলনা

খুলনায় শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. শেখ নিশাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার প্রতিবাদে ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে জেলার চিকিৎসকেরা।

আজ মঙ্গলবার খুলনার বিএমএ ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।

হামলাকারী ও এর সঙ্গে জড়িতদের ১২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করা না হলে আগামীকাল ১ মার্চ সকাল ৬টা থেকে পরদিন ২ মার্চ সকাল ৬টা পর্যন্ত খুলনা জেলার সব চিকিৎসক পূর্ণ কর্মবিরতিতে থাকবেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিএমএ (বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন) খুলনার সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম বলেন, গত ২৫ অপারেশন চলাকালীন অপারেশন থিয়েটার ঢুকে ভাঙচুর ও ডা. শেখ নিশাত আব্দুল্লাহকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়।

তিনি এখন  হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ডা. শেখ বাহারুল আলম বলেন, বহুবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আমলাদের বোঝানো হয়েছে স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানসমূহ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এই সেক্টরে নিরাপত্তা প্রয়োজন। কখনো কোনো কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করেনি।

তিনি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে এএসআই নাঈম ও তার সঙ্গীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় না আনা হলে আগামীকাল বুধবার সকাল ৬টা থেকে ২৪ ঘণ্টা খুলনা জেলার সব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের (সরকারি, বেসরকারি স্বায়ত্তশাসিত) চিকিৎসকরা পূর্ণ কর্মবিরতি পালন করবে। শুধুমাত্র মানবিক কারণে জরুরি বিভাগ খোলা থাকবে।

এছাড়া বুধবার সকাল ১০টায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহিঃবিভাগ চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করে পরবর্তী সময়ের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।

বিএমএ খুলনার সাধারণ সম্পাদক ও শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রজেক্ট ডিরেক্টর ডা. মেহেদী নেওয়াজ ও যুগ্ম সম্পাদক ডা. নেওয়াজ মোস্তাফি চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

ডা. বাহারুল আলম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'খুলনাতে প্রায়ই ডাক্তারদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এমনকি আমাদের খুলনার গল্লামারী এলাকার রাইসা ক্লিনিকের পরিচালক ডা. আব্দুর রকিব খানকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। নিজেকে অরক্ষিত ও অনিরাপদ রেখে চিকিৎসকরা আর কর্মস্থলে যেতে চায় না।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

15h ago