চীন সফরে পুতিনের ঘনিষ্ট মিত্র বেলারুশ প্রেসিডেন্ট লুকাশেনকো

প্রায় ৩০ বছর ধরে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট পদে আছেন আলেক্সান্ডার লুকাশেনকো। ছবি: রয়টার্স
প্রায় ৩০ বছর ধরে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট পদে আছেন আলেক্সান্ডার লুকাশেনকো। ছবি: রয়টার্স

৩ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আজ মঙ্গলবার চীনে এসে পৌঁছাবেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেনকো।

আজ মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এপি এ তথ্য জানিয়েছে। 

চীন জানিয়েছে, তাদের দৃষ্টিতে এই সফর 'সার্বিকভাবে ২ দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রকে আরও বিস্তৃত করার সুযোগ'।

তবে বিশ্লেষকদের আশংকা, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে চলমান 'বিশেষ সামরিক অভিযানে' রাশিয়াকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি চীন গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে। মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, এ ধরনের উদ্যোগের পরিণাম ভয়াবহ হতে পারে।

লুকাশেনকোর সফরের সঙ্গে এ বিষয়টির কোনো যোগসূত্র থাকতে পারে বলেও ভাবছেন কিছু বিশ্লেষক।

তবে চীন যুক্তরাষ্ট্রের সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বেইজিংয়ের দাবি, দেশটি শান্তি আলোচনার পক্ষে। তারা ওয়াশিংটন ও মিত্রদের বিরুদ্ধে জ্বলন্ত আগুনে আরও ঘি ঢেলে সংঘাতের মাত্রা বাড়ানোর অভিযোগ এনেছে।

সোমবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, 'চীন-রাশিয়া সম্পর্কের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করার কোনো অধিকার যুক্তরাষ্ট্রের নেই। আমরা কোনোভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের চাপ ও বলপ্রয়োগে নতি শিকার করবো না'।

বেইজিং ১ বছর ধরে চলতে থাকা এই যুদ্ধে নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখার দাবি করে। তবে একইসঙ্গে তারা রাশিয়ার সঙ্গে 'সীমাহীন' সম্পর্ক বজায় রেখেছে এবং রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিন্দা জানাতে অস্বীকার করেছে। এমন কী তারা এই ঘটনাকে 'যুদ্ধ' বলতেও নারাজ, সকল কূটনৈতিক বক্তব্যে চীন 'সংঘাত' বা এ ধরনের শব্দ ব্যবহার করেছে।

রাশিয়া ও মিত্রদের বিরুদ্ধে আরোপিত বিধিনিষেধের সমালোচনা করেছে চীন। একইসঙ্গে বেইজিং এর দাবি, ইউক্রেনকে প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র দেওয়ার নামে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো এই সংঘাতের তীব্রতা বাড়াচ্ছে।

সংঘাতের শুরু থেকেই বেলারুশ মস্কোকে সমর্থন জানিয়ে এসেছে। ১ বছর আগে প্রথম হামলার আগে অন্যান্য অবস্থানের পাশাপাশি বেলারুশের ভূখণ্ডে মোতায়েন রুশ বাহিনীও কিয়েভের দিকে অগ্রসর হয়। এরপর থেকে বেলারুশে রুশ সেনা, যুদ্ধ বিমান ও অন্যান্য অস্ত্র মোতায়েন করা আছে।  

১৯৯৪ সালে বেলারুশে প্রেসিডেন্ট পদ গঠনের পর থেকেই এই পদে আছেন লুকাশেনকো। লুকাশেনকোর সঙ্গে চীনের বলিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

No sharp rise in crime, data shows stability: govt

The interim government today said that available data does not fully support claims of a sharp rise in crimes across Bangladesh this year

1h ago