চাঁদা না পেয়ে প্রধান শিক্ষককে পেটালেন ছাত্রলীগ নেতা
চাঁদা না পেয়ে বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষককে লাঠি দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ধূলশুড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তানজিদ মাহমুদ ইসলামের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ইব্রাহিমপুর ঈশ্বরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলতাফ হোসেন তানজিদ মাহমুদসহ তার ৬ সহযোগীকে আসামি করে শুক্রবার বিকেলে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহার ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন সময় অনুষ্ঠানের নামে প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেনের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন ছাত্রলীগ নেতা তানজিদ মাহমুদ। তবে টাকা দিতে অস্বীকার করায় ছাত্রলীগ নেতা প্রধান শিক্ষকের ওপর ক্ষিপ্ত হন। গত বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বিদ্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর শুভ্র দত্তকে নিয়ে প্রধান শিক্ষক উপজেলা সদরে অগ্রণী ব্যাংকে যাচ্ছিলেন। পথে মোহনপুর এলাকায় মোটরসাইকেলের গতিরোধ করেন ছাত্রলীগ নেতা তানজিদসহ তার ৬-৭ জন সহযোগী। এসময় তারা প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেনকে মারধর করেন এবং লাঠি দিয়ে পেটান। প্রধান শিক্ষককে রক্ষা করতে গেলে কম্পিউটার অপারেটর শুভ্র দত্তকেও মারধর করা হয়। এসময় প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা, হাতঘড়ি ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে হামলাকারীরা সেখান থেকে চলে যান। পরে স্থানীয়রা প্রধান শিক্ষক ও কম্পিউটার অপারেটরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ছাত্রলীগ নেতা তানজিদ তার বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র। অনুষ্ঠানের নামে বিভিন্ন সময় তানজিদ তার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। এ ছাড়া, ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরের বাইরে বসতে বলা নিয়ে
ক্ষিপ্ত ছিলেন তানজিদ।
অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা তানজিদ মাহমুদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত তার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এম এ সিফাত কুরাইশী সুমন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শিক্ষকের ওপর ছাত্রলীগের কেউ হামলা করে থাকলে তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হবে।'
হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার আদিত্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনায় তানজিদ মাহমুদসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।'
Comments