কক্সবাজারে হোটেল থেকে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার

কক্সবাজার
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

কক্সবাজার জেলা শহরের হোটেল-মোটেল জোনের একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে মা ও শিশু সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে কলাতলী সড়কের সুগন্ধা পয়েন্ট এলাকার আবাসিক হোটেল সি আলিফ থেকে মরদেহ ২টি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশের কক্সবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।

পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহ ২টির মধ্যে একটি সুমা দের (৩৬) তিনি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার নাথপুরা এলাকার শচীন্দ্র দের মেয়ে। অন্য মরদেহটি আনুমানিক ৮ মাস বয়সী এক মেয়ে শিশুর। তার নাম জানা যায়নি।

ঘটনার পর থেকে অন্য ২ সন্তানকে নিয়ে ওই নারীর স্বামী জেমিন বিশ্বাস পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।

হোটেল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে অতিরিক্ত এসপি মিজানুর রহমান বলেন, 'কক্সবাজার শহরের আবাসিক হোটেল সি আলিফের একটি কক্ষে ২ পর্যটকের মরদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে। পরে হোটেলটির চতুর্থ তলার ৪১১ নম্বর কক্ষ থেকে মেঝে ও খাটের ওপর পড়ে থাকা অবস্থায় এক নারী এবং আনুমানিক ৮ মাস বয়সী এক মেয়ে শিশুর মরদেহ পাওয়া যায়।'

তিনি আরও বলেন, 'কক্ষটির দরজা বাইরে থেকে খোলা অবস্থায় ছিল। মৃতদের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধ করে ২ জনকে হত্যার পর স্বামী পালিয়ে গেছেন। ময়নাতদন্তের পর তাদের মৃত্যুর আসল কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।'

'কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। তবে স্বামী অপর ২ সন্তান নিয়ে পলাতক থাকায় প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, দাম্পত্য কলহের জেরে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে', যোগ করেন ওসি।

হোটেল সি আলিফের জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, 'গত মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ৩ শিশুসহ সুমা দে ও জেমিন বিশ্বাস হোটেলের ৪১১ নম্বর কক্ষে উঠেন। তারা ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হোটেল অবস্থানের কথা বলে কক্ষটি ভাড়া নেন। আজ সকাল সাড়ে ১১টায় হোটেল কক্ষটি ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে জেমিন বিশ্বাসের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে খোঁজ নিতে হোটেলের এক কর্মচারী তাদের কক্ষটিতে যান। এ সময় কক্ষটি বাইরে দরজা খোলা ছিল। ভেতরে মা ও শিশু সন্তানকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।'

'ঘটনাটি তাৎক্ষণিক পুলিশকে জানানো হয়। ঘটনার পর থেকে জেমিন বিশ্বাস ও অন্য ২ শিশু নিখোঁজ', বলেন তিনি।

মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। কক্সবাজার সদর মডেল থানার পুলিশ ও সিআইডি ও ট্যুরিস্ট পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Teknaf customs in limbo as 19 mt of rice, authorised by AA, reaches port

The consignment of rice weighing 19 metric tonnes arrived at Teknaf land port on Tuesday evening with the documents sealed and signed by the Arakan Army

6h ago